মিডিয়া দেশ-বিদেশসংস্কৃতি-বিনোদন

রাজিয়ার সঙ্গে লিভ টুগেদার করতাম: বৈরাগী

বিনোদন ডেস্ক: রাজিয়া অভিনেতা ফখরুল হাসান বৈরাগীর স্ত্রী নন। তাদের দু’জনের মধ্যে লিভ টুগেদারের সম্পর্ক। ৪১ দিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার থানায় হাজির হয়ে এমন কথাই জানালেন প্রবীণ অভিনেতা, নির্মাতা ও নাট্যকার ফখরুল হাসান বৈরাগী।

দু’দিন ধরে মিডিয়া অঙ্গনে অন্যতম আলোচিত ছিল প্রবীণ অভিনেতা বৈরাগীর নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ। বাবা নিখোঁজ উল্লেখ করে ফেসবুকে বৈরাগীর কথিত স্ত্রী রাজিয়ার ছেলে সামন্ত হাসান একটি পোস্ট শেয়ার করার পর বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে। এ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। অবশেষে ৪১ দিন নিখোঁজ থাকার পর আজ সোমবার দুপুরে কলাবাগান থানায় এসে হাজির হন প্রবীণ এ অভিনেতা। জানালেন, তিনি নিখোঁজ ছিলেন না। প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলের বাসায় ছিলেন এতগুলো দিন। এও জানালেন যে, রাজিয়া তার স্ত্রী নন। রাজিয়ার সঙ্গে লিভ টুগেদার করতেন। তার সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত ৭ আগস্ট প্রথম স্ত্রীর ছেলের বাসায় গিয়ে ওঠেন।

এর আগে রাজিয়া হাসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, গত ৭ আগস্ট সকালে ছেলে সামন্ত হাসান ইসাকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে বাসার দারোয়ানের কাছে গাড়ির চাবি রেখে বের হয়ে যান বৈরাগী। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফখরুল হাসান বৈরাগীর কোনো খোঁজ জানতেন না আত্মীয়-স্বজনরাও। ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে প্রবীণ এই অভিনেতাকে বাবা দাবি করে সামন্ত হাসান ইসা ‘নিখোঁজ’ ফখরুল হাসান বৈরাগীর সন্ধান চান। এরপর বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে।

গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া এণ্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে এসে সাক্ষাতের পর বৈরাগী উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি স্বজ্ঞানে ছেলের বাসায় অবস্থান নিয়েছিলেন। রাজিয়া হাসানকে কথিত স্ত্রী হিসেবে দাবি করে তিনি বলেন, ”রাজিয়া আমার স্ত্রী নয়। তার সঙ্গে লিভ টুগেদার করতাম। তার সাথে বনিবনা না হওয়ায় আমি ৭ আগস্ট প্রথম স্ত্রীর ছেলের বাসায় গিয়ে উঠি। সে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে আমার নিখোঁজের গুজব ছড়িয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে কলাবাগান থানায় নিজে এসে হাজির হয়েছি।”

ফখরুল হাসান বৈরাগী বলেন, গেল ৭ই আগস্ট বাসার দারোয়ানকে বাসার চাবি দিয়ে এক কাপড়ে বেড়িয়ে যাই। উঠি কেরানীগঞ্জের আঁটি বাজারে প্রথম স্ত্রীর ছেলের বাসায়।

তিনি বলেন, আমার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর রাজিয়া হাসানের সাথে থাকতাম। সম্প্রতি তার সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। সে কারণে অনেকটা অতিষ্ট হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যাই। বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত, সম্মানহানি হতে পারে ভেবেই আমি বিষটি কাউকে জানাইনি। কেরানীগঞ্জে দুই ছেলে রাশেদুল হাসান ও রকিবুল হাসান এক সাথে থাকে। ওদের বাসায় গিয়ে উঠি। বৈরাগীর এক পালিত কন্যাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈরাগী বলেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি- আমি নাকি নিখোঁজ। আসলে আমি নিখোঁজ না। কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। কিংবা আমি পালিয়ে থাকিনি। সজ্ঞানে ছেলের বাসায় গিয়ে উঠেছি। বিভ্রান্তি দূর করতেই আমি আজ থানায় হাজির হয়েছি।

এ ব্যাপারে তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া এণ্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান,  ফখরুল হাসান বৈরাগী আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি নিখোঁজ ছিলেন না। স্বজ্ঞানে ছেলের বাসায় অবস্থান নিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি সাহায্য চাইলে আইনগত সহায়তা করা হবে।

জানা গেছে, রাজিয়ার সঙ্গে ২৯ বছর ধরে থাকছেন ফখরুল হাসান বৈরাগী। তাদের দু’জনের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button