লক্ষ্মীপুরে বাসায় ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করলো যুবলীগ নেতা
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা: জেলার সদর উপজেলায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের বাসায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী। আহত অবস্থায় তাকে শনিবার রাত ১১টার দিকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
জামাল উদ্দিন চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও দাসেরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং একই উপজেলা চরশাহীর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আবদুল হাসিমের ছেলে।
রবিবার সকালে ওই ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন ও তার সহযোগী ওসমানকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ওই স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে দাসেরহাট বাজারে ভাড়া বাসায় ডেকে নেয় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন। এ সময় তাকে মুখ বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জামাল উদ্দিন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই স্কুল ছাত্রীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সে।
ওই স্কুল ছাত্রীর চিৎকারে বাজারের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় রাত ১১টায় উদ্ধার করে দাসেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে দাসেরহাট মাছ বাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো। স্ত্রী বাসায় না থাকার সুবাদে ওই স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় জামাল উদ্দিন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শারিরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ওই স্কুল ছাত্রী।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী শনিবার সন্ধ্যায় খাতা-কলম কেনার জন্য দাসেরহাট বাজারে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে জামাল তাকে কৌশলে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর ভাই দুজনকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছে। অসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে। বর্তমানে ওই কিশোরীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।