আঞ্চলিকতাপ্রাণের বাংলাদেশ

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি বিভাগ বন্ধ!

ভালুকা নিউজ ডট কম; গফরগাঁও প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিষয়ক (গাইনি) চিকিৎসক না থাকায় ৫ বছরের অধিক সময় ধরে জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে উপজেলার অসংখ্য গরীব অন্তঃসত্ত্বা নারীদের বেশি টাকা ব্যয় করে ক্লিনিকে গিয়ে অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলম আরা বেগম জানান, ২০০৫ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতি সেবা কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু ২০১১ সালে হাসপাতালের জুনিয়র গাইনি চিকিৎসক ডা. হামিদা আক্তার ও ডা. হালিমা সুলতানা বদলি হয়ে চলে যাওয়ার পর থেকে গর্ভবতীদের অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। নতুন একজন প্রসূতিবিষয়ক চিকিৎসক আসলে জরুরি প্রসূতি বিভাগ আগের মতো চালু হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রসূতি বিভাগ চালু হওয়ার পর গর্ভবতী নারীরা বিনামূল্যে ওষুধসহ অস্ত্রোপচার সুবিধা পেয়ে আসছিল। কিন্তু গত ৫ বছর ধরে জরুরি প্রসূতি বিভাগে কোনো গাইনি চিকিৎসক না থাকায় প্রসূতিরা এ সাহায্য ও সুবিধা পাচ্ছেন না। বরং হাসপাতালে এসে কোনো প্রকান গাইনি চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গিয়ে ক্লিনিকে বাড়তি টাকা খরচ করে অস্ত্রোপচার করছেন।
উপজেলার দত্তেরবাজার ইউনিয়নের বিরই গ্রামের হাবিবা আক্তার নামের এক প্রসূতির স্বামী এনামুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা শুরু হলে দ্রুত গফরগাঁও হাসপাতালের উদ্যেশে স্ত্রী নিয়ে হাসপাতাল গেইটে পৌছা মাত্র জানতে পারি দীর্ঘদিন ধরে এখানে প্রসূতি বিভাগ বন্ধ রয়েছে। পরে সেখান থেকে তিন হাজার টাকায় একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে ময়মনসিংহ শহরে স্বদেশ নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে অস্ত্রোপচার করানো হয়। এতে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আমি আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ার ওই ৩০ হাজার টাকার জের এখনো আমাকে বইতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলম আরা বলেন, দু’জন গাইনি চিকিৎসক বদলি হয়ে যাওয়ায় অস্ত্রোপচার ও প্রসূতি সেবা বন্ধ রয়েছে। গাইনি চিকিৎসক দেয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button