ক্যাম্পাসবিশ্ববিদ্যালয়

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রভাষক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

ষ্টাফ রিপোটার্রঃ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলতি বছরের বিভিন্ন বিভাগে ৭ জন নতুন প্রভাষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। মেধাবীদের বাদ দিয়ে মোটা অংকের ঘুষ ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এগ্রিকালচার ইকনোমিক্স এন্ড পলিসি ও সোসলজি বিভাগে ৩ জনকে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়ায় ভিসি ড. শাহি আলম ও ডীন ড. জসিম উদ্দিন আহমদের যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা ছাড়া অবৈধভাবে এ নিয়োগ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সুত্রে জানাযায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ডীন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ২ জন সংসদ সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যসহ কোন সভা ছাড়াই গোপন প্রক্রিয়ায় এ নিয়োগ কাজ সম্পন্ন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানাযায়,সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে নতুন শিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য সার্কুলার মোতাবেক চলতি বছরের ১২ জুন প্রার্থীদের সাাতকার গ্রহন করেন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বোর্ড। সার্কুলার মোতাবেক মাষ্টার্স ডিগ্রীধারীদের অগ্রধিকার দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। নিয়োগ পরীায় অন্যান্য বিভাগের মত এগ্রিকালচার ইকনোমিক্স বিভাগে শাম্মী পাল ও বিবি মরিয়ম এবং সোসলজি বিভাগে মধুমিতা ভট্টাচার্য্য,ইষিতা দেব এবং দিল আরা অংশগ্রহন করেন। কিন্তু ইকনোমিক্স পলিসি বিভাগে শাম্মী পাল ফলাফলে এগিয়ে এবং মাষ্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ভিসি ড. শাহি আলম এবং ডিন ড. জসিম উদ্দিন আহমদ মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে অধৈভাবে শুধুমাত্র অনার্স ডিগ্রীধারী তাদের এলাকার পছন্দের প্রার্থী বিবি মরিয়মকে এবং সোসলজি বিভাগে মাষ্টার্স ডিগ্রীধারী দিল আরাকে বাদ দিয়ে মধুমিতা ভট্টাচার্য্য,ইষিতা দেব প্রাথমিক বাছাই করলে এ নিয়াগে প্রক্রিয়া নিয়ে সিলেট জুড়ে নানান আলোচনা সমালোচনা দেখা দেয়। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ কমিটি বিষয়টি ২ জন সংসদ সদস্য সিন্ডিকেট মেম্বারদের নিয়ে পরবর্তীতে সভার মাধ্যমে নিস্পত্তি করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। কিন্তু সিন্ডিকেট সভা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ডীন যোগসাজশে দুর্গাপুজার ছুৃটি শেষে গত ২রা অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খুললে তড়িগড়ি করে ইকনোমিক্স পলিসি বিভাগে শাম্মী পালকে বাদ দিয়ে ভিসি ও ডীনের এলাকার প্রার্থী বিবি মরিয়মকে এবং সোসলজি বিভাগে মাষ্টার্স ডিগ্রীধারী দিল আরাকে বাদ দিয়ে মধুমিতা ভট্টাচার্য্য,ইষিতা দেব নিয়োগ পত্র নেওয়ার আহবান জানান। বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে সিলেট জুড়ে নানান আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেন,বিষয়টি যেখানে সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে নিস্পত্তি হওয়ার কথা সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় খুলার সাথে সাথেই সিন্ডিকেট মেম্বার ২ জন সংসদ সদস্য ছাড়া ভিসি ও ডীনের যোগসাজশে কিভাবে তা সম্পন্ন করা হয় ? এতেই কি বুঝা যায় না এ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি দুর্নীতর মাধ্যমে পূর্ব পরিকল্পিত একটি নিয়োগ।
উল্লেখ্য,বিগত ২০১৫ সালেও এগ্রিকালচার ইকনোমিক্স ও পলিসি বিভাগে মেধা তালিকায় ৩য় অবস্থানে থাকা শেরেফ উল আলমকে না নিয়ে ৪র্থ অবস্থানে থাকা নুর মোজাহিদকে স্বজনপ্রীতি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে পুনরায় ঐ সাবজেক্ট এর নিয়োগ পরীক্ষায় ঐ ব্যাচর প্রার্থী শাম্মী পালকে বাদ দিয়ে পূর্বের ব্যাচের শেরেফ উল আলমকে তাদের পছন্দ মত নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সময় পরবর্ত্তী বছর সিলেটী লোক নিয়োগের আম্বাস দিলেও ভিসি ও ডীন এ বছরও তাদের এলাকার নিজেদের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দেওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন ? এগ্রিকালচার ইকনোমিক্স ও পলিসি বিভাগে মেধা তালিকায় প্রতি বছর সিলেটী প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও ভিসি ও ডীনের যোগসাজশে সিলেটের বাহিরের প্রার্থীকে অনিয়ম দুর্নীতি ও মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়েও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। অনেকেই বলাবলি করছেন এভাবে প্রতিবছর অনিয়ম,দুর্নীতি,সেচ্ছাচারিতা ও ঘুষের মাধ্যমে শিক নিয়োগদানকারী ভিসি ও ডীনের খুটির জোর কোথায় ?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button