মোহাম্মদ আবদুর রশিদের দু’টি কবিতা

সৃষ্টিকর্তার দান
আমি সবচেয়ে বেশী ভয় পাই তাকে যে স্রষ্টাকে ভয় পায় না,
সে স্রষ্টায় বিশ্বাস করেনা, সে কখনও সত্যিকারের বন্ধুও হতে পারেনা।
এ রকম বন্ধু যদি কখনও কারো ভাগ্যে জুটে, সে হবে হতভাগা,
জীবন চলার পথ পঙ্কিল হবে, সহায় কিছু থাকবেনা, হবে সে দূর্ভাগা।
যে মানুষ সৃষ্টির বিস্ময়কর উদাহরনগুলি ভুলে যায়, সে মুক্তি লাভের অযোগ্য,
কারণ আমরা সৃষ্টির এমন সব বস্তু দ্বারা পরিবেষ্টিত, যা প্রতিনিয়ত মনকে নাড়া দিতে যোগ্য।
স্রষ্টার প্রতিচ্ছবি দেখা যায়না কিন্তু তা হৃদয়ের উঞ্চতা দ্বারা অনুভব করা যায়,
এই অনুভব যার ভিতর সৃষ্টি হয়নি, তাকে সত্যিকারের মানুষ বলা হবে দায়।
এ বিশ্বে যত কিছু ভাল রয়েছে, সবই বিনে মূল্যে স্রষ্টার অনুগ্রহের দৃষ্টি
যা কিছু মন্দ হয় তার সবকিছুই কোন না কোন ভাবে আমাদের দ্বারাই সৃষ্টি।
স্রষ্টা আমার আলো, তাকে ছেড়ে কোথায় যাবে এ মন প্রাণ,
যা কিছু সুন্দর উজ্জলতর সবই তো মহান সৃষ্টিকর্তার দান।
পাবার সন্ধান
তুমি কি তোমার বারান্দায় পরীদের নাচতে দেখেছ, নিশ্চয়ই দেখনি,
এই অদেখা বিষয়গুলি প্রমান ছাড়া, কল্পনায়ও কেহ ধরে রাখতে পারেনি।
এই সন্দেহের যুগে যা দেখা যায় না, তার বাহিরে কেউ কিছু বিশ্বাস করেনা,
আমাদের এই ছোট্ট মন বলে, যা বোধগম্য নয় এমন কিছু থাকতেও পারেনা।
এই মহাবিশ্বে মানুষের বুদ্ধি ছোট্ট পিঁপড়ার চেয়েও বেশী বড় নয়,
পৃথিবীর সবচেয়ে সত্যিকার জিনিসগুলো কেউ দেখেনা এটাও কিন্তু প্রমানীত নয়।
এই দেহের ভিতরে আর একটি বাড়ী আছে, তা কেহ চোখে দেখিনা,
সেই বাড়ীতে অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে, দায় থেকে কিন্তু রেহাই পাবিনা।
এই বাড়ীটা কি রকম হতে পারে তা শুধু অনুভব করছি,
ভাবছি বাড়ীটা যে তৈরী করেছে সে কেমন? সেই উপলব্দির ভাব দেখাচ্ছি।
যা দেখিতেছিনা তা দেখিবার শুন্যতাকেও অন্তরের সাথে মিলাতে পারছিনা,
এই জন্যই যাহা পাইতেছিনা, তা পাবার সন্ধান কিছুতেই থামিতে চায়না।