আন্তর্জাতিকতথ্য-প্রযুক্তি

এবার পানিতে চলবে মোটরসাইকেল

ভালুকা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : যান্ত্রিক জীবনে জ্বালানী তেল অনেক ভূমিকা রেখে চলছে সে সাথে ভূমিকা রাখছে গ্যাস। আজকের বিশ্ব চলছে জ্বালানির শক্তিমত্তায়। মানুষের জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গের সঙ্গেই এখন জ্বালানি যুক্ত হয়েছে সভ্যতার চাহিদা মেটাতে। শুধু চাহিদার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই জ্বালানি খাত। এই জ্বালানি নিয়ে যুদ্ধের কারণে দেশে দেশে মরছে অগুনতি মানুষ। গৃহহারা হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ, অথচ জ্বালানি সমস্যার কোনো সুরাহা হচ্ছে না। কিন্তু যেদিন প্রকৃতি প্রদত্ত জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে সেদিন মানুষ কি তবে প্রাচীন সময়ে ফিরে যাবে?। নিশ্চিতভাবেই মানুষ আর প্রাচীন অবস্থায় ফিরে যাবে না, কারণ মানুষের পরাজিত হওয়ার কোনো ইতিহাস নেই।

সেই পরাজিত না হওয়ার জায়গা থেকেই বিকল্প জ্বালানি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। তাদেরই একজন হলেন ব্রাজিলের রিকার্ডো আজভেদো। নিজের চেষ্টায় এবং মেধা খাটিয়ে তিনি এমন এক পন্থা তৈরি করেছেন যেখানে মোটরসাইকেল চালাতে লাগছে না কোনো জ্বালানি তেল, উল্টো মাত্র এক লিটার পানি দিয়েই মোটরসাইকেলটি চালানো যাবে প্রায় পাচশ কিলোমিটার পর্যন্ত।

তবে রিকার্ডোই প্রথম পানিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেননি। এর আগেও জাপানের একটি কোম্পানি ২০০৮ সালে ওসাকাতে পানি দিয়ে চালিত একটি গাড়ির সফল পরীক্ষা করেছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি শাখা সফলভাবে পানিকে ফুয়েলে রুপান্তরিত করতে পেরেছে। অন্যদিকে স্ট্যানলি অ্যালেন নামের আরেক ভদ্রলোক পানি দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চমকে দিয়েছিলেন বেশ কয়েক বছর আগেই। বলা হয়, পানিকে ফুয়েলে রুপান্তরিত করার প্রথম পদক্ষেপটিই নিয়েছিলেন স্ট্যানলি।

ব্রাজিলের সাওপাওলোর রিকোর্ডো এক লিটার পানি দিয়ে পাচশ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে দেখিয়েছেন যে, পানিকেও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার অসম্ভব নয়। তিনি এ কাজে পানিকে একক ইউনিট হিসেবে নিয়েছেন এবং বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য তিনি ব্যবহার করেছেন একটি গাড়ির ব্যাটারি। সেই ব্যাটারির বিক্রিয়ায় যে স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়, এর ফলে পানির মলিকিউল হাইড্রোজেন বিভক্ত হয়ে যায়। আর ফলস্বরুপ মোটরসাইকেলের জন্য যতটুকু শক্তিমত্তা দরকার হয় তা ওই পানি থেকে পাওয়া যায়। বিভিন্ন বড় বড় ল্যাবরেটরিতে সূক্ষ্ণ পরীক্ষার জন্য জ্বালানি হিসেবে পানিকে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বৃহৎ পরিসরে এর ব্যবহার এখনও বিশ্বে শুরু হয়নি। তবে আশা করা যায়, আগামী শতক আসার আগেই তেল ভিন্ন বিভিন্ন রকমের জ্বালানি ব্যবস্থা মানুষ আবিষ্কার করে ফেলবে। আর তখন এতো খরচা করে মোটরসাইকেল চালাতে হবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button