বেকারত্ব প্রেম
কলেজের ক্যাম্পাসে-
প্রথম যে দিন,
তোমার হাত ধরেছিলাম
তুমি বলেছিলে- অসভ্য!
যখন বলেছিলাম- ভালবাসি
তখন বলেছিলে- ইডিয়েট।
এক দুই তিন করে
সপ্তাহ পেরুলো।
একদিন-
কৃষ্ণচূড়া গাছের ছাঁয়ায়
একাকী বসেছিলাম
উদাসী কবির যেন ছন্দ খোঁজা,
গুন গুন করে গান;
অতঃপর পকেটের কলম সোচ্চার।
ঘামে সিক্ত মিষ্টি মুখ
ঠোঁটের লাল লিপিষ্টিকের আল্পনায়
কপোতির গুনগুনানী,
চেয়ে আমি হতবাক!
কচুরিপানার ময়ূরপাখা ফুল হাতে তুমি
মুচকি হাসি, চোখের ভেতরে চোখ
আস্তে করে বললে- আমিও ভালবাসি।
এরপর নিরব ভালবাসায় কেটে গেছে
বেশ কয়েকটি বসন্ত বিকেল।
চোখের ভাষায়, কথার ছলে
আদান-প্রদান মৌন ভালবাসা
স্বপ্নীল ভূবনে একাকার।
এতো গভীরতায় ভালবাসার শেঁকড়
যার শক্তি হরহামেশাই বুঝাতে,
তবুও প্রেম চলতো নিজের গতিতে।
উদাস কোন এক দুপুরে কোন এক সহপাঠি
একটি তিন অক্ষরে লেখা চিঠি দিয়ে গেল
তারপর আরও কেটে গেল কয়েক সপ্তাহ।
ভার্সিটির ক্যাম্পাস পেরুনো হলোনা তোমার,
মাঝখানে ঈদের ছুটিতে বাড়ি গেলে
তোমার বাড়ি না গিয়ে গেলে অন্যের বাড়ি;
কিছুই করার ছিলনা তখন আমি যে বেকার।