বোরকা পরিহিত ছাত্রীদের কলেজ থেকে বের করে দিলেন অধ্যক্ষ
কামরুজ্জামান লিটন, গফরগাঁও থেকে: বোরখা পরার অপরাধে কলেজ থেকে ছাত্রীদের বের করে দিলেন অধ্যক্ষ। শ্রীপুর উপজেলা সংলগ্ন গফরগাঁও কাওরাইদ গয়েশপুর কলেজে গতকাল সোমবার এঘটনা ঘটে। এতে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিভাবক ও ছাত্রীরা জানান, গফরগাঁও ও শ্রীপুর উপজেলার শতাধিক ছাত্রী বোরকা পড়ে ‘কাওরাইদ গয়েশপুর কলেজে প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাশ করে। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল সোমবার সকালে তারা ক্লাশে অংশ নেয়ার পর বোরকা পড়ার কারণে তাদেরকে ক্লাশ থেকে বের করে দেন কলেজ অধ্যক্ষ মো. বাবর আলী। বোরকা পড়ার কারণে ওই ছাত্রীদেরকে ক্লাশ থেকে বের করে দেন। নির্ধারিত ড্রেস না পড়ার কারণে ওই ছাত্রীদেরকে পরে আর কোন ক্লাশেই অংশ নিতে দেয়া হয়নি। অধ্যক্ষের কাছে বার বার অনুরোধ করেও কোন কাজ না হওয়ায় অবশেষে ওই ছাত্রীরা কেঁদে কেঁদে বাড়ি ফিরে যায়। এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। বোরকা পরে ছাত্রীরা কলেজে ক্লাস করতে না পেরে গয়েশপুর বাজার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নাস্তিক নাস্তিক বলে মিছিল কওে তারা অধ্যক্ষেও অপসারণের দাবী জানান। বিক্ষোভরত দ্বিত্বীয় বর্ষেও ছাত্রী মাহমুদা, উর্মি, সৃষ্টি, মাহফুজা, পলি, তানিয়া, সুর্বণা,মিনারা খাতুন বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার প্রথমেই আমাদেরকে মুখ খুলতে বলেন পরে আবার বোরকাও খুলতে বলেন আমরা প্রতিবাদ করলে গালি গালাজ করে বোরকা পরতে নিষেধ করে এবং বোরকা না পরে কলেজে আসতে বলেন।
এব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ বাবর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কলেজের নির্ধারিত ড্রেজ না পড়ার কারণে ছাত্রীদেরকে শ্রেণী কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, পাশে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। ওই মাদ্রাসার ছাত্রীরাও বোরকা পড়ে। ফলে কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রীদের মধ্যে কোন পার্থক্য বোঝা যায় না। এই সুযোগে অনেক সময় মাদ্রাসার ছাত্রীরাও কলেজের ক্লাশে অংশ নেয়। ফলে কলেজের ছাত্রীদেরকে বোরকার ওপর সাদা এপ্রোন পড়ার নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় বর্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্রী বোরকার ওপর সাদা এপ্রোন না পড়ায় তাদেরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ক্লাশে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এব্যাপারে গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত শংকর কুন্ডু বলেন আমি এবিষয়ে জেনে কঠোর ব্যবস্থা নিব।