তথ্য-প্রযুক্তিলাইফ স্টাইল

ওয়াই-ফাইয়ের কুফল: শারীরিক সমস্যা প্রকারভেদ

ভালুকা নিউজ ডট কম, তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : বতর্মান সময়ের অতি প্রয়োজনীয় ও তরুন প্রজন্মের আকাংখিত ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্যগত বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে অনেককেই অফিস, বাড়ি বা অন্য কোথাও মিলিয়ে সবসময়ই ওয়াই-ফাই এর রেডিয়েশনের মধ্যে থাকতে হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির ক্ষতিকর রেডিয়েশন মানবদেহের ক্ষতি করছে। বিশেষ করে শিশুদের ওপর এর বিকিরণ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে। ঘরের মধ্যে থাকা মডেম ও রাউটারগুলো থেকে বেরনো রেডিয়েশন ঘরের বাতাসকে দূষিত করে তুলছে। তাই জেনে নিন, ওয়াই-ফাই এর প্রভাবে আমাদের কী কী শারীরিক ক্ষতির ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে হচ্ছে।

নিদ্রাহীনতা: দিনের মধ্যে বেশিরভাগ সময় ওয়াই-ফাই রেডিয়েশনের মধ্যে থাকলে নিদ্রাহীনতার সমস্যা হতে পারে । ঘুমের সময়ে অবশ্যই ওয়াই-ফাই বন্ধ করে ঘুমানো উচিত।

গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের ক্ষেত্রে: গর্ভবতী মহিলাদের এই সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন হওয়া উচিত। এই ধরনের বিকিরণ ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে গর্ভবতীদের ওপরে। একইসঙ্গে বাড়িতে যদি ছোট শিশু থাকে তাহলে অবশ্যই ওয়াই-ফাই প্রযুক্তিকে এড়িয়ে চলা উচিত।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা: বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, স্কুলে পড়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাইয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়ে। বড়দের ক্ষেত্রে মনসংযোগের অভাব দেখা দেয় সবচেয়ে বেশি।

এনার্জি লেভেল: বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যারা ওয়াই-ফাই বিকিরণের মধ্যে থাকেন, তাদের এনার্জির মাত্রা অনেক কম থাকে।

প্রজননে অক্ষমতা: এক্ষেত্রে পুরুষদের ওপরে ওয়াই-ফাই এর প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। শুধু স্পার্ম নয়, ডিএনএ-তেও প্রভাব পড়ে এর।

কোষের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত: কোষের বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় ওয়াই-ফাই বিকিরণ। একইসঙ্গে মোবাইলের বিকিরণও সমানভাবে ক্ষতি করে। তাই বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, যতটা পারা যায় ততটা কমানো উচিত প্রযুক্তির ব্যবহার।

হৃদকম্পন বৃদ্ধি: ওয়াই-ফাই চালু করলেই এর ক্ষতিকর বিকিরণের ফলে হৃদকম্পন বেড়ে যেতে পারে অনেকের। হার্টের দুর্বলতা থাকলে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে।

মাথা ব্যথা: মাত্রাতিরিক্ত বিকিরণের মধ্যে থাকলে মাথা ব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। প্রথমে বোঝা না গেলেও পরের দিকে এর মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।

পরিশেষে আমাদের খুবই নিয়মতান্ত্রিক ও সচেতনার সাথে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে যাতে আমাদের শারীরিক ও মানষিক কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button