সারা ভালুকাহবিরবাড়ি

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সিডষ্টোর বাজারে- রাস্তার ডিভাইডারের গর্তে ময়লা আবর্জনার স্তুপ

সংবাদ প্রকাশের পর এখনও পরিষ্কার হয়নি, টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের
ভালুকা নিউজ ডট কম; স্টাফ রির্পোটার : ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা উপজেলার সিডষ্টোর বাজারের মুল অংশে নির্মাণাধীন রাস্তার ডিভাইডারের গর্তে ময়লা আবর্জনা ফেলায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, ঘটছে দুর্ঘটনা। ফোর লেনের কাজ চলছে এই মহা সড়কের। যেনো শেষ হচ্ছেইনা রাস্তার কাজ! মরন ফাঁদ যেনো এই ডিভাইডারের গর্ত।
সরেজমিন রির্পোট, গত কয়েক মাসে দ্রুত গতির যাত্রীবাহী যান ও বাসগুলি রাস্তার এপার ওপার করতে যেয়ে ঘটেছে বেশ কয়েকটি জীবনহানীর ঘটনা।বাজার অংশে মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটছে আবর্জনার স্তুপের গাড়ীর ব্রেক ফেল ও পিছলে গিয়ে।সিডষ্টোর বাজারটি উপজেলার গুরুত্বপুর্ন বাজারের মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ভীর করে এখানে। অথচ ব্যাবসায়ীদের অসাবধানতা ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় রাস্তার মাঝখানে কাঁচা বাজারের বর্জ্র ও পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোর কাঁচা-পাকা আবর্জনা, পচাঁ তরি-তরকারী, মাছের উচ্ছিষ্ঠ, বাজারের অন্যান্য ময়লা ফেলে  ডিভাইডারের গর্তে স্তুপাকার করে রাখা হচ্ছে। একদিকে যেমন ঘটছে দুর্ঘটনা অপরদিকে নষ্ঠ হচ্ছে পরিবেশ-ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধ। রাস্তার পার হতে গিয়ে অসাবধানতায় পা পিছলে ঘটছে ছোটখাট দূর্ঘটনা। নব্য শিল্প কারখানা গড়ে উঠায় এ এলাকায় ইদানিং সারাদেশের শ্রমিক শ্রেণী ও সর্ব সাধারনে মুখরিত জনপদ এই সিডষ্টোর তথা হবিরবাড়ী এলাকা। মানুষের পদচারনা বাড়লেও বাড়েনি নাগরিক সুবিধা। ঐতিহ্যবাহী এই বাজারে রয়েছে নির্বাচিত ব্যাবসায়ী সমিতির সুযোগ্য নেতৃবৃন্ধ অথচ বাজার ব্যাবস্থাপনায় নেই কোন উদ্যোগ। হতাস সচেতন মহল সিডষ্টোর বাজোরের এহেন পরিবেশের অব্যবস্থাপনায়। বাজারের রাস্তাগুলোও পানি নিষ্কাষনের অভাবে একাধীক খানা-খন্দে চলাচলে অসুবিধায় ফেলছে আগত জনসাধারনের। বাজার করতে আসা গার্মেন্ট শ্রমিক সাবিনা জানালেন দুভোগের কথা-কাঁচা বাজার রাস্তার উপরে হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে তাদের কেনা-কাটা করতে হচ্ছে। বাজারের আগত মানুষ ও এলাকাবাসীর দাবী সড়কে যেনো ময়লা-আর্বজনা না ফেলা হয এবং কাঁচা বাজার যেনো নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা গাজী লাল মাহমুদ সরকার বলেন- বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব ইজারাদারদের, তারা বাজার পরিষ্কার রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাও আদায় করা হয় কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাতের আধাঁরে এ সব ময়লা রাস্তার মাঝখানের ডিভাইডারে ফেলে যায়। এ ব্যারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এই নিউজটি প্রকাশ হওয়ার দীর্ঘদিন পেড়িয়ে গেলেও টনক নড়েনি প্রসাশন কিংবা বাজার কর্তৃপক্ষের কারও। যার কারণে বর্তমানে পরিবেশ আরও খারাপ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ভালুকা নিউজ ডট কম আবারও প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button