মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪২তম
বিশ্বের ১৮৮টি দেশের মধ্যে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনডিপি) বার্ষিক মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪২ তম। ২০১৪ সালেও এই অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে নেপাল ও পাকিস্তানের উপরে অবস্থান করছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে ইউএনডিপি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) যৌথভাবে মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৫ প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, নেপাল ও পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ১৪৫ ও ১৪৭। এই সূচকে পাকিস্থান প্রতিনিয়তই খারপ করছে। তবে ভারতের অবস্থান বেড়ে ১৩০ তম হয়েছে।যেখানে গত বছর ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১৩৫ ও ১৪৬।
এ সময় মেজবাহ উদ্দীন বলেন, মানব সূচক উন্নয়নে বাংলাদেশর একটি বড় অর্জন। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্ত্বা খাতে আমরা প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছি। সেই নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির হচ্ছে দেশে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নানা ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।ভবিষ্যতে মানব উন্নয়নে আমরা আরো ভালো অবস্থানে যাব।
তিনি আরো বলেন, আমদানি, রফতানি ও রেমিটেন্স জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রমিকের অধিকার বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে। অতি দারিদ্রতা নিরসনেও বাংলাদেশ বিশ্বে বুকে রোল মডেল।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখো যায়, গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশ সার্বিক নানা খাতে প্রতি বছর ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে উন্নতি করছে। প্রতিবেদনের প্রধান রচিয়তা সেলিম জাহান বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদাসহ সার্বিক গুরুত্ত্বপূর্ণ খাতের উপর ভিত্ত্বি করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করে ইউএনডিপি।আমাদের উন্নয়নের অগ্রগতি অনেক ভালো। তবে দারিদ্র নেই, কর্মসংস্থানের অভাব নেই।তা কিন্তু নয়।
তবে জাতি হিসেবে আমাদের অনেক উদ্ভাবনী আছে। এ কারনে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। মানব উন্নয়নে সূচক দেখলে আমরা সেখানে আছি যেখানে আছি কি না। দেখলে বোঝা যাবে। এসময় আরো তিনি বলেন, প্রযুক্তি যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি,তাহলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে লাভবান হবো। তবে এর উপরে একবারেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ি তাহলে প্রযুক্তি আমাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাড়াবে।
অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন,বাংলাদেশের অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটা নির্ভর করে তৈরি পোশাক রপ্তানি,অদক্ষ শ্রমিক রপ্তানি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সম্প্রসারণের উপর। মানব উন্নয়ন সূচকে আরো উন্নতি করতে আমাদের নতুন নতুন কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বাড়াতে হবে।