বর্তমানরাজনীতি

‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণের সঙ্গে প্রতারণা’

ভালুকা নিউজ ডট কম: ‘দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে’ বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণা’ হিসেবে দেখছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গণতন্ত্র চলছে ভালো- এটা আপনারাই (সাংবাদিকরা) ভালো বলতে পারবেন। এটাকে ‘দ্য সুপার জোক অব দ্য ইয়ার’ বলতে পারেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনের উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই।

“প্রধানমন্ত্রী যে কথাটা বলেছেন, তিনি পুরোপুরি সত্যের অপলাপ করেছেন এবং জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন।”

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে সফলভাবে যে নির্বাচনটা হয়েছে, যে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। সংসদে এখন আর খিস্তিখেউড় হয় না, নোংরা কথা হয় না। সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে- এটাই প্রমাণিত হয়েছে।”

নয়া পল্টনে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে যৌথ সভার পর সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন ফখরুল।

“আমরা সারা দেশে রাজনৈতিক কর্মীসভা করছি। তবে বেশির ভাগ জায়গায় আমরা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। নাটোরে সভা আমাদের একেবারে করতেই দেওয়া হয়নি।”

৭০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে ফখরুল বলেন, “এই সরকার পুরোপুরিভাবে একটা দুর্নীতিবাজ সরকার। করাপশন হচ্ছে এদের প্রধান উদ্দেশ্য। আপনি দেখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব এর উত্তরটা দিয়ে দিয়েছেন।

“এই বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝা যায়, আসলে তারা নিজেরা স্বীকার করে নিয়ে যে, তারা দুর্নীতি করছেন, তারা পালিয়ে যাবেন, টাকা পয়সা নিয়েই পালিয়ে যাবেন সেটাও তারা স্বীকার করে নিয়েছেন।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে ৭ মে দুপুর ২টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এবং ৮ মে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে উত্তরের কর্মীসভা হবে বলে এই দুই এলাকার দায়িত্বে থাকা বিএনপি মহাসচিব জানান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের নেতা কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, শামসুল হুদা, আবদুল মজিদ, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, রবিউল ইসলাম রবি, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজীয়া আলীম, পেয়ারা মোস্তফা, নুর আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা দলের আবুল হোসেন এসময় ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button