আপনার সন্তান খেতে চায়না, কৌশলী হউন
শিশু খেতে না চাইলে অনেক বাবা মা জোর করে খাওয়াতে চেষ্টা করেন শিশুকে। এতে খাবার নিয়ে ভীতি কাজ করায় অনেক ক্ষেত্রে শিশুর বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে সমস্যা হয়, কখনো বা তারা ওজন হারাতে থাকে। বারবার খাবারের জন্য তাগিদ দিলে শিশু খাবারের প্রতি অনীহা দেখাবে। খাওয়া নিয়ে একবার জোর করে খাওয়ালে পরে যখনই তাকে খাওয়াতে চাইবেন তখন সে ভয়ে আরও কম খাবে। খাওয়ার প্রতি তার কোনো উৎসাহ থাকবে না। তাই শিশু কেন খেতে চাচ্ছে না আগে সেটা বোঝে বিভিন্ন ধরনের কৌশলে খাওয়াতে হবে শিশুকে।
২৪ ঘণ্টায় শিশুর ছয় ও তার অধিকবার প্রস্রাব হলে বুঝবেন আপনার শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ পাচ্ছে। আর নিয়মিত ওজন করে গ্রোথ চার্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেই বুঝবেন আপনার শিশুর বৃদ্ধি ঠিক আছে কি না। ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি যে খাবার খাওয়াবেন সে ব্যাপারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। শিশুকে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের মূল খাবারের মাঝে দুবার হালকা নাস্তা দেওয়া প্রয়োজন। তবে লক্ষ রাখতে হবে, নাস্তা যেন খুব ভারি না হয়। মূল খাবারের কাছাকাছি সময়ে যেন শিশুকে নাস্তা দেওয়া না হয়। ভারি নাস্তা বা মূল খাবারের অল্প আগে কোনো খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই শিশুর ক্ষুধাভাব কমে যাবে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবক একই পরিমাণ নাস্তা ও মূল খাবার শিশুকে দিয়ে থাকেন। যা শিশুর শরীরে ক্ষুধামন্দা তৈরি করে। তাই নাস্তার পরিমাণ কম ও মূল খাবারের পরিমাণ বেশি দেওয়া কতর্ব্য। শিশুকে ফলের রস বা জুস না খাইয়ে আস্ত ফল খাওয়ান। খুব বেশি পরিমাণে তরল খাওয়ালে শিশুর পেট ভরে যাবে। তবে পুষ্টির চাহিদাতে ঘাটতি দেখা দেবে।
শিশুকে খাওয়ানোর সময় আদর ও যত্নসহ সুন্দরভাবে খাবার পরিবেশন করতে পারেন। এতে শিশু খাবারের পুরোপুরি স্বাদ ও আনন্দ লাভ করবে। যতটা সম্ভব শিশুকে খাওয়ানোর সময় আনন্দপূর্ণ করে তুলতে হবে। রঙিন পাত্রে খাবার দিন শিশুর সামনে। টেবিলকে করুন সুন্দর ও আকর্ষণীয়। অতিরিক্ত খাবার সামনে না আনাই ভাল, এতে শিশুর খাবার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়। খাবার পরিবেশনে একটু ভিন্নতা আনতে পারেন। খাবারের স্বাদ ভালো না লাগলে শিশু খেতে চায় না। শিশুকে খাওয়ানোর জন্য খাবার সুস্বাদু হতে হবে, যেমন অল্প ঝাল, লবণ, হালকা মিষ্টি হলে শিশু খেতে পছন্দ করে। শিশুর মুখে খাবার দেয়ার আগে নিজে একটু খেয়ে খাবারের স্বাদ চেখে দেখতে হবে। পরিবারের রান্নার সময় অল্প ঝাল দিয়ে রান্না করে শিশুর জন্য আলাদা করে তুলে নিয়ে পরে অন্যদের জন্য স্বাদ মত ঝাল দেয়া যেতে পারে।