প্রাণের বাংলাদেশস্কুল আঙিনা

ভালুকায় ৭৯ হাজার শিক্ষার্থী সব বই হাতে পায়নি

ডেস্ক রির্পোট: ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রাথমিক পর্যায়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ৭৮ হাজার ৬৩৫ শিক্ষার্থী তাদের সব বই এখনো হাতে পায়নি। ফলে এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও বই না পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম হতাশায় পড়েছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ভালুকা পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, ১৬৬টি, এনজিও পরিচালিত ৪৫টি, কিন্ডার গার্টেন স্কুল ২০২টি ও উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩টিসহ ৪১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রয়েছে ৭৮ হাজার ৬৩৫ জন।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, ১ জানুয়ারি দেশব্যাপী উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতীয় বই উৎসব পালন করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পেলেও তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই হাতে পায়। বছরের জানুয়ারি মাস পার হলেও পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ৪১৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭৮ হাজার ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় (সমাজ)- এই তিনটি বই না পেয়ে শিক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক জানান, বছরের প্রথম দিকে অধিকাংশ শিশু শিক্ষার্থী নতুন বই হাতে পায়নি। তাছাড়া পুরো জানুয়ারি মাস চলে যাওয়ার পরও তিন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন বই না পাওয়া এবং কবে নাগাদ তা পাওয়া যাবে তারও কোন সঠিক সময় শিক্ষকদের কাছ থেকে জানতে না পারায় শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এমনকি নতুন বইয়ের সাথে পুরাতন বইয়ের কিছুটা অমিল থাকায় এবং সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। যা পরবর্তীতে তাদের শিক্ষার উপর প্রভাব পড়তে পারে।

এ ব্যাপরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমকর্তা শহিদুজ্জামান জানান, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় (সমাজ) বই এখনো হাতে না পাওয়ায় তা দেয়া সম্ভব হয়নি। বই সরবরাহ কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে বই পাওয়ার সঠিক দিন তারিখ তাদের কাছ থেকে জানতে না পারায় শিক্ষকদেরও দিন তারিখ জানানো সম্ভব হচ্ছে না। বইগুলো আমাদের হাতে পৌঁছামাত্রই তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে দেয়া হবে।

সূত্র: http://www.dailynayadiganta.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button