ভালুকায় ৯ম শ্রেণির ছাত্রীর অবৈধ গর্ভপাত আশংকা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি
অবৈধ গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে ভালুকা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের অন্তস্বত্তা এক কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়ে ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়েছে হামিদুল নামের প্রেমিক ও তার পরিবার।
২৮ ফেব্রুয়ারি রবিরাব রাতে ভালুকার একটি ক্লিনিক থেকে মল্লি¬কবাড়ী শহীদ নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর কিশোরী ছাত্রী (১৪) কে উদ্ধার করে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হলে সে সাড়ে ৫মাসের এক মৃত নব জাতকের জম্ম দেয়, কিশোরীর অবস্থাও শংকামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রতারিত কিশোরী জানায়, উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুর রহিম বাদশার পুত্র হামিদুল (১৭) ২বছর যাবৎ তার সাথে প্রেম করে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এতে সে সাড়ে ৫মাসের অন্তস্বত্তা হয়। হামিদুলের মা হালিমা (৪০) ঘটনাটি জানতে পেড়ে, পুত্র বধুর সামাজিক স্বীকৃতি দেয়ার কথা বলে তাকে, তাদের বাড়ীতে নিয়ে গোপনে সন্তান প্রসবের ঔষধ সেবন করায়। এতে প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘাঁয় তাকে দ্রুত ভালুকার ‘ফাহিম ডায়গনষ্টিক সেন্টার’ এ ভর্তি করে তারা পালিয়ে যায়। কিশোরীর চা দোকানদার দরিদ্র পিতা এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানায় ধর্ষণ ও জোর করে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য হামিদুল ও তার মা- বাবাকে আসামী করে (মামলা নং-৩৪ তারিখ-২৯-০২-১৬) দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এস আই মিরাজুল ইসলাম।