সাহিত্য সংবাদসাহিত্য সাধনা

না ফেরার দেশে কবি রফিক আজাদ, সমাহিত হবে বুদ্ধিজীবী করবস্থানে

ঢাকা: বাংলাদেশের আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি রফিক আজাদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি….রাজিউন)। কবি শনিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে মারা যান। আইসিইউর ডাক্তারের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চত করেছেন কবির ভাতিজি নীরু শামসুন্নাহার।

এর আগে তিনি গত ফেব্রুয়ারি থেকে ওই হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। পরিবার পক্ষ থেকে জানা গেছে, তার লাশ রাখা হবে হাসপাতালের হিমঘরে। আগামী সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর পক্ষ থেকে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কবির মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ১২টা থেকে ১ ট পর্যন্ত রাখা হবে বাংলা একাডেমিতে। সর্বশেষ কবির জানযা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। জানাযা শেষে একই দিন কবিকে সমাহিত করা হবে বুদ্ধিজীবী করবস্থানে।

১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কবি রফিক আজাদ। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাবা-মার কঠিন শাসন উপেক্ষা করে ভাষা শহীদদের স্মরণে খালি পায়ে মিছিল করেন তিনি।

চিরদিনই প্রতিবাদী এই কবি তার দ্রোহকে শুধু কবিতার লেখনীতে আবদ্ধ না রেখে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জাতির চরম ক্রান্তিকালে, ১৯৭১ এ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনের সৈনিক হিসেবে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন তিনি। কর্মজীবনে রফিক আজাদ বাংলা একাডেমির মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’র সম্পাদক ছিলেন। ‘রোববার’ পত্রিকাতেও রফিক আজাদ নিজের নাম উহ্য রেখে সম্পাদনার কাজ করেছেন। এছাড়া টাঙ্গাইলের মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনাও করেন তিনি।

১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান তিনি। সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন হুমায়ুন কবির স্মৃতি (লেখক শিবির) পুরস্কারসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button