‘পদত্যাগ করলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ শিক্ষক’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ শিক্ষক ও ১২ কর্মচারী একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা স্ব-উদ্যোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলম।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। এর জের ধরেই বুধবার উপাচার্য বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ শিক্ষক ও ১২ কর্মচারী।
সূত্র মতে, গত সোমবার থেকে সিকৃবিতে ২৫ শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েবের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা করছিলেন প্রক্টর মো. আবদুল বাছেত।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে মৌখিক পরীক্ষা বোর্ড থেকে বের হওয়ার পর প্রক্টরকে পেয়ে কুৎসা রটনার কারণ জানতে চান রেজিস্ট্রার। এসময় প্রক্টর বাছেত রেজিস্ট্রার শোয়েবকে লাঞ্ছিত করেন। শোয়েবও চড়াও হন প্রক্টরের ওপর। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৩টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিরাজ করে উত্তেজনা।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষ ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।
বুধবার (১৬-৩-২০১৬) সকাল থেকে উভয়পক্ষ আবার ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রক্টর বাছেতের বহিষ্কারের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। এ দাবিতে তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন।
অপরদিকে রেজিস্ট্রার শোয়েবের অপসারণের দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষকরা। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রক্টরের পক্ষ নিয়ে রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ শিক্ষক ও ১২ কর্মচারী উপচার্যের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।