ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা
কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
রোববার সেনানিবাস এলাকায় একটি কালভার্টের নিচ থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোহাগীর বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের একজন কর্মচারী। সেনানিবাস এলাকায় সোহাগীদের বাসা। সোহাগী ভিক্টোরিয়া কলেজে ইতিহাস বিভাগে পড়তেন। সোহাগী সংস্কৃতিমনা শিক্ষার্থী ছিলেন। নাচে ও অভিনয়ে পারদর্শী সোহাগী ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন জানায়, নিজেদের বাসার কাছেই অলিপুর নামক এলাকায় টিউশনি করতেন সোহাগী। রোববারও টিউশনির উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন সোহাগী। সন্ধ্যায়ও বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংক সংলগ্ন স্থানে সোহাগীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। গলাকাটা মৃতদেহ নগ্ন অবস্থায় কালভার্টের পাশে ঝোপঝাড়ের ভেতর পড়েছিলো। নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিলো। মোবাইল ফোনটিও পড়েছিল পাশে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটকও করা যায়নি বলে তিনি জানান।
ময়নাতদন্ত শেষে সোহাগীর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।