বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি,মাতৃভূমি।আমার পরিচয়,আমার অস্বিত্ব।স্বাধীন সার্বভৌমত্বের প্রতীক বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা জাতীয় দিবস।দীর্ঘ ৯ মাসে রক্তক্ষয়ী সশস্র সংগ্রাম,লক্ষ শহীদের জীবনের বিনিময়,মা-বোনের ইজ্জতের দামে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা।স্বাধীনতা দিবসের দিনটিকে আনন্দের পাশাপাশি আমাদের অনুপ্রেরণার দিন হিসেবে পালিত হয় শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়।স্বাধীনতা দিবস বাংলা ও বাঙালীর মন ও মননে দেশ প্রেম জাগ্রত করে- অন্যায়, নিপীড়ন ও মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়কে জাগ্রত করে।সত্যিকারের দেশ প্রেমিক প্রজন্মকে উজ্জীবিত করে মহান ত্যাগ আর দেশ প্রেমের চেতনায়।মহান স্বাধীনতা দিবসে সকল বীর শহীদদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বর্তমান প্রজন্ম গর্ববোধ করে।সত্যিকারের দেশ প্রেমিক হয়ে দেশ মাতৃকার কল্যাণ কামনায় সর্ব শক্তি নিয়োগ করে জীবন বাজী রাখতেও দ্বীধা করেনা।দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের আমাদের এই বিজয় বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন ভূখন্ড হিসেবে স্থান করে নেয়া কতোটা গর্বের,কতোটা সম্মানের তা বাঙালী হিসেবে ভাবনাকে জাগায় স্বাধীনতার চেতনায়।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে আমরা গভীর ভাবগাম্ভীর্যের সাথে, শ্রদ্ধা ভরে দেশপ্রেমিক বীর সন্তানদের বিশাল আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করি গভীর চেতনায়।আমরা শিক্ষা নিই বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ থেকে।শপথ নিই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি জাতী হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াতে।শিক্ষা-সংস্কৃতি,শিল্প-সাহিত্য,রাজনীতিতে মুক্তি-সংগ্রামের প্রেরণাতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
মহান স্বাধীনতা দিবসে আবারো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি দেশ মার্তৃকার সেইসব গর্বিত সন্তানদের,যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা,আমরা আজ স্বাধীন জাতি।আমাদের অস্তিত্ব জুড়ে রয়েছে সেইসব বীরদের অমর কৃতিত্ব।
স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্ত নস্যাত করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তরুণ প্রজন্ম সব সময় প্রস্তুত।লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা।জীবন ও ইজ্জতের দামে পাওয়া মহান বিজয়।এ গৌরব ভূলে যাওয়ার নয়,নয় অসম্মানের।স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্ন রাখতে আমাদের প্রজন্মকে আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আত্ম নিয়োগ করে ভাবনা এবং চেতনায় ধারন করতে হবে দেশ প্রেম।তবেই সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ আমরা পাবো,বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হিসেবে।বর্তমান প্রজন্মের কামনা হোক মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে ধারন করে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।তারুণ্যের উচ্ছাসে-উদ্দপিনায় উদ্ভাসিত হোক আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস।প্রত্যাশার সবটা জুড়ে থাক প্রাপ্তির স্বাধীনতা।