জাতীয়

বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামই বহাল, রিট খারিজ

ঢাকা: ‘রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম’ সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগে আনীত রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামই বহাল থাকবে। এতে করে বাংলাদের কোটি কোটি মুসলমান স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছেন সে সাথে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন।

আজ সোমবার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ এ রিটটি খারিজ করে দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

আদেশে বলা হয়, আবেদনকারীদের আবেদনের অধিকার (লোকাস স্টান্ডি) নাই। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক ও সুব্রত চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৮ সালের ৫ জুন চতুর্থ জাতীয় সংসদে অষ্টম সংশোধনী পাস করা হয়। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে অন্তর্ভুক্ত করে সরকার। ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের আগস্ট মাসে ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ পক্ষে সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেনসহ ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। দীর্ঘ ২৩ বছর আবেদনটি হাইকোর্টে বিচারাধীন ছিল। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে তাতে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে বহাল রাখে। এই সংশোধনীর ২(ক) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন দাখিল করে রিটকারী পক্ষ। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে পৃথক দুটি রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুলে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

এদিকে, এই রিটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে দেশের রাজনীতি। ধর্মভিত্তিক দলগুলো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চক্রান্ত চলছে এমন অভিযোগ করে আন্দোলনের ডাক দেয়। জামায়াতে ইসলাম আজ এই ইস্যুতে দেশব্যাপী হরতালেরও ডাক দেয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button