ত্রিশালে মুক্তিযোদ্ধা হত্যার ঘটনায় ৪০ বছর পর মামলা
এইচ এম মোমিন তালুকদার-ত্রিশাল প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ৪০ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মামলার বিবরনে জানাযায়, ১৯৭৪সালের ২৭নভেম্বর ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: মাজেদ ওরফে মজিদকে তৎকালীন ত্রিশাল থানা শান্তি কমিটির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এবং আহমদাবা দ রাজাকার ক্যাম্পের কমান্ডার আনিসুর রহমান মানিকের নেতৃতে। কতিপয় রাজাকাররা আহমদাবাদ কলেজ মাঠে প্রকাশ্যে গুলিকরে ও কুপিয়ে হত্যা করে । এর দীর্ঘদিন পর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে লোকমান হেকিম বাদী হয়ে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্টেটের ৩নং আমলী আদালতে গত ৮ মার্চ আনিসুর রহমান মানিককে প্রধান আসামী করে ১৮জনের নাম উল্লেখসহ আরো কয়েক জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি ত্রিশাল থানায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ ব্যাপারে লোকমান হেমিক জানান,নিরাপত্তা জনিত কারনে ও বর্তমান সরকার রাজাকারদের বিচার শুরু করায় দীর্ঘদিন পর হলেও আমি মামলাটি দায়ের করেছি। মামলার অপর আসামীরা হলেন-সামছুল হক বাচ্চু, মোখলেছুর রহমান, আদিল সরকার, মাওলানা মোফাজ্জল হোসেন,সাইদুর রহমান রতন, হাছেন আলী, নাজিম উদ্দিন মেম্বার,মুকুল মাস্টার,আব্দুল করিম মাস্টার,তৌহিদুর রহমান কোহিনুর,বাদশা বেপারী,দুদু বেপারী,মজিবর রহমান,সামছুল হক ফকির,সুরুজ আলী,খাদেম আলী,মানু মুঞ্চীসহ অঞ্জাত আরো অনেকে। এ ব্যাপারে মজিদের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বলেন,রতন খাঁন আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে এবং বলে হাছেন খাঁন তোরে কলেজ মাঠে যেতে বলেছে ,জুরুরি মিটিং আছে। মজিদের মেয়ে জোৎনা বেগম বলেন,আমি আমার বাবা ও একজন মক্তিযোদ্ধা হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে মামলার সাক্ষী আবুল হাশেম বলেন আমার চোখের সামনে রাজাকাররা প্রথমে মজিদের পায়ে ও পরে বুকে গুলি করে এবং পরে অন্যান্য রাজাকাররা কুপিয়ে হত্যা করে। মামলার অপর সাক্ষী আইয়ুব আলী বলেন , রাজাকাররা মজিদকে হত্যা করে তার লাশ রেল স্টেশনে ফেলে রেখে আনন্দ উল্লাস করতে করতে চলে যায়।
এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত মনিরুজ্জামান জনান, মামলার তদন্ত চলছে । তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা।