রোজায় খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে না

রোজায় খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়বে না। মজুদ পরিস্থিতি ভালো। পণ্য সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। মঙ্গলবার দুপুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি রমজানে পণ্যদ্রব্যের দাম না বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে ৬০ হাজার টন ছোলার চাহিদার জায়গায় ১ লাখ টন মজুদ রয়েছে। রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পণ্য বিক্রয় কর্মসূচি হাতে নিয়েছে টিসিবি। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেল ডিলাররা রাজধানীসহ সারা দেশে ১৭৪টি স্থানে ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে পণ্য বিক্রি করবেন। বিক্রয় কর্মসূচিতে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর, ছোলা ও মশুর ডাল বিক্রি করা হবে।
বিদেশ থেকে সুগন্ধি চাল আমদানিতে এখন আর কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে রোজার আগেই আরেক দফা বেড়েছে ছোলা, চিনি, রসুনসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) শুক্রবারের হিসাবে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ছোলার দাম এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৮ থেকে ৮৪ টাকা, বর্তমানে দাম বেড়ে হয়েছে ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা। চিনি প্রতিকেজি গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, এখন হয়েছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। রসুন (দেশি) মানভেদে প্রতি কেজি গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১২০ টাকা, সেটি হয়েছে ১০০ থেকে ১৩৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি গত সপ্তাহে ছিল ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা, সেটি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।
অন্যদিকে এক মাসের ব্যবধানে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে মোটা চাল, প্যাকেট আটা, খোলা ও প্যাকেট ময়দা, সব ধরনের পেঁয়াজ ও জিরা।
শুক্রবার রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, চিনি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা।