সরকার ‘বিএনপির সকল নেতাকেই বন্দি করতে চায়’-মির্জা আব্বাস
ঢাকা: বিএনপির সকল নেতাকে সরকার বন্দিকরতে চায় উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের প্রতিদিনই আদালতেহাজিরা দিতে হয়। বিএনপির নেতারা বাইরে থাকুক, আওয়ামী লীগের সেটা পছন্দ না। তারা বিএনপির সবাইকে জেলে নিতে চায়।’
তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে (খালেদা জিয়া) গ্রেপ্তার করতে চাইলে পরিণাম ভাল হবে না। মানুষ সহজভাবে তা মেনে নেবে না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
আগামী ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশনেত্রীকে (খালেদা জিয়া) কারারুদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে খবর শোনা যাচ্ছে। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা খুব সহজ হবে না।’
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি মনে করে, বিএনপির চেয়ারপারসনকে গ্রেপ্তার করা হলে দেশে শান্তি আসবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। কারণ, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।’
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘দমন-পীড়ন করে পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না। তাই সরকারের উচিত হবে, দমন-পীড়নের পথ পরিহার করে দেশের জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, মানুষের ভালবাসা আদায় করা। একইসঙ্গে দেশের মানুষের কীভাবে মঙ্গল ও দেশের উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
এক-এগারোর আগের ও পরের মতো বিএনপির বিরুদ্ধে এখন আবারো ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে নগর বিএনপির এ আহ্বায়ক বলেন, ‘কোনো একটি কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী বিএনপিতে দলাদলির মাধ্যমে সেই ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছেন। যদি সেটা হয়, তাহলে তার একটি অশুভ ছায়া ঢাকা মহানগর বিএনপিতেও পড়তে শুরু করেছে। এই চক্রটি দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এদের ব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়াই ভাল জানবেন-বুঝবেন। তবে এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’