ভালুকায় বেহাল রাস্তাগুলোর সংস্কার জরুরী
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা শিল্পসমৃদ্ধ-কৃষি নির্ভর উপজেলা। উপজেলার মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৬৭% মানুষ কৃষি নির্ভর ও গ্রামে বাস করে। শিল্পায়নের ছোঁয়া লাগলেও সে পরিমান সুবিধা পায়নি ভালুকার জনগন।তবে কিছু-কিছু সড়কের ইটের সলিং হলেও তা তুলনায় খুবই কম।সরেজমিনে দেখা যায়-উপজেলার সিডষ্টোর-বাটাজোর সড়কের বাটাজোর বাজারের প্রবেশ পথেই বিশাল গর্ত,একটু বৃষ্টিতেই অথৈ জলাধার।বাজারের ভেতরেও রয়েছে ছোট-বড় গর্ত। জনবহুল সিডষ্টোর বাজারের শহীদ সমসের রোডের প্রাক্তন কৃষি ব্যাংকের সামনে,চেয়ারম্যান মার্কেকেঁর সামনে,জলিল মেম্বার বাড়ীর সামনে,মধু মার্কেকের সামনে ও চাউলে মিলের পার্শ্বে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েেেছ।এই সড়কে বাস,অটো রিক্সা,মালবাহী ট্রাক,লরি,পিকাপ ভ্যানসহ প্রতিদিন মিল শ্রমিকবাহী শতশত যানবাহন সখীপুর ও বাটাজোর বাজার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকে।এসব খানা-খন্দের কারনে সৃষ্টি হয় যানজট ও বিঘœ ঘটে গাড়ী চলাচলে।এই রোডের বাস চালক মো: বাবুল মিয়া জানান-প্রায়ই রাস্তা নষ্ট থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে।এছাড়াও বাটাজোর সোনার বাংলা কলেজ ও স্কুলের রাস্তাটির মাঝ-মধ্যে কার্পেটিং উঠে গেছে এবং গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাটাজোর-সখীপুর সড়কের বাজার অংশ চলাচলে অযোগ্য হয়ে গেছে। বিশাল গর্তে একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাধারের সৃষ্টি হয়।হবিরবাড়ী-কাচিনা ইউনিয়নের সিডষ্টোর-গাংগাটিয়া-তালাব,পাড়াগাঁও-চাটানপাড়া-গৌরিপুর এলাকা কাঁচা রাস্তাগুলো একটু বৃষ্টিতেই চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে।খুব বেশী কাঁদা হওয়ায় এ রাস্তাটি বিড়ম্ভনায় ফেলে দেয়-শিক্ষার্থী,অভিভাবক,কারখানার পুরুষ ও মহিলা শ্রমিক,তরিতরকারী বাহী যান ও সর্ব সাধারণের চলাচলে। অবহেলিত এ রাস্তাগুলো পাকাকরনের দাবী দ্বীর্ঘদিনের।বর্ষা মৌসুমে উপজেলার কাঁচা ও আধা-পাকা রাস্তাগুলো অনেকটা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।বিড়ম্ভনার শিকার হয় হাজারো সাধারণ মানুষ। উপজেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন রাস্তার মধ্যে কাচা অবস্থায় আছে যেগুলো কাঁচা থাকায় রাস্তার বেহাল দশা। এলাকাবাসীর দাবী যেনো- রাস্তাগুলো দ্রুত মেরামত ও পাকাকরন করা হয়।