জীবনের জন্য চাই সুন্দর পরিবেশ -সফিউল্লাহ আনসারী

পরিবেশ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য’ বণ্যপ্রাণী ও পরিবেশ,বাঁচায় প্রকৃতি বাঁচায় দেশ’প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গণসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সম্মিলিত কার্যকর বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।যেহেতু পরিবেশ মানুষের জন্য অপরিহার্য তাই সেই পরিবেশটা হওয়া চাই অনুকল।যেখানে সুস্থ্যতায় বাঁচা যায়।বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত। আর আমদের দেশে ভয়াবহ অবস্থা।সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন কারনে প্রকৃতি ও পরিবেশের মাঝেই বিচিত্র জীবনের বিকাশ ঘটে।পরিবেশের জন্যই মানুষ তার জীবনের মোড় ভাল মন্দের দিকে ধাবিত করে।সুস্থ্য জীবনধারনের জন্য ভালো পরিবেশের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশী।পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজন শান্তিময় সূস্থ পরিবেশ। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের আদর্শ পরিবেশে, বিজ্ঞান ক্রমবিকাশের ধারায় চরম উন্নতি লাভ করেছে।আর মানুষ সেই গৌরবে ভালোর সাথেই অন্ধ হয়ে পৃথিবীর সুন্দর পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে ইচ্ছা বা অনিচ্ছাতেই।সাম্প্রতিককালে বিশ্বব্যাপী মানুবসৃষ্ট দূষণের মাত্রা মারাত্মক আকার ধারন করায় বিশ্বব্যাপী মানুষ আজ পরিবেশ দূষনের বিরূদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে।তবে এই সচেতনতা শুধু লোক দেখানোতেই সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।পরিবেশ দূষনের বিভিন্ন কারনগুলোর মধ্যে-জনসংখ্যা বৃদ্ধি,বৃক্ষনিধন ও মরুকরন, অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি,রাসায়নিক সারের ব্যাবহার,কীটনাশকের ব্যাবহার,যুদ্ধ ও সংঘর্ষ,বায়ু দূষন,শব্দ দূষন,পানি দূষন,মাটি দূষন,নিষিদ্ধ পলিথিন জাতীয় দ্রব্য, রাসায়নিক দ্রব্যের অপব্যাবহার,গ্রীন হাউস এফেক্ট-এর মতো এফেক্ট রোধ করে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া দরকার।অপরিশোধিত শিল্পবর্জ্রসহ বিভিন্ন কারনে ক্রমশ:আমাদের চারপাশ বিনষ্ট ও দুষিত হচ্ছে। অপরিকল্পিত ও অনুমোদন ছাড়াই গভীর নলকূপ স্থাপন করায় মাটির পানির স্তর নীচে চলে যাচ্ছে,যাতে ভুমি দেবে যাচ্ছে।অনেক পানীয় বাজারজাতকারী কোম্পানীর বড় ধরনের একাধীক গভীর নলকুপ স্থাপনের কারনে ওইসব এলাকায় পনির স্তর নীচে চলে যাচ্ছে খুব দ্রুতই।এসব দুষনের প্রতিকার ও সময়োপযোগি পদক্ষেপ-জাতীয়-আর্ন্তজাতিক পরিবেশ নীতির সফল বাস্তবায়ন করে আইনগত কাঠামো প্রণয়ন,বন সম্পদের পরিমান বৃদ্ধিতে-ব্যাপকহারে বনায়ন কর্মসূচী গ্রহন ও বৃক্ষরোপন, নিরাপদ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করন,পরিকল্পিতভাবে নগরায়ন ও শিল্প কলকারখানা স্থাপন ও সঠিক বর্জ্র ব্যাবস্থাপনা স্থাপন,গ্রাম ও শহরের জন্য পরিবেশ রক্ষায় আলাদা উদ্যোগ গ্রহন করে উদ্যোগী হওয়া জরুরী।প্রতিটা জীবনের জন্য চাই সুন্দর পরিবেশ বিশ্বজুড়েই অনাকাংখিত ও প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারন আমাদের সুন্দর পৃথিবীকে বাসের অযোগ্য করে তুলছে।সেই অকল্যাণকর অবস্থা থেকে মানুষের কল্যাণকর বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ও পরিবেশ রক্ষায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করে আমাদের মানুষের বাসযোগ্য একমাত্র গ্রহ পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও উদ্যোগ নেয়া সময়ের দাবী।সর্বোপরি পরিবেশ সংরক্ষনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াসে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা জরুরী।“পরিবেশবাদীদের মতে, বাংলাদেশের প্রকৃতির অন্যতম উপাদান বন ও বন্যপ্রাণী।বিভিন্ন অঞ্চলের বন ও বন্যপ্রাণী মিলে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের প্রতিবেশব্যবস্থা। গড়ে উঠেছে প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরপুর সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশ। বন ওবন্যপ্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবেশ – প্রতিবেশব্যবস্থার ওপর নেমে আসে বিপর্যয়।প্রকৃতিতে এদের ভূমিকা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবে প্রতিনিয়ত বন ও বন্যপ্রাণী ধ্বংস হচ্ছে। বন ধ্বংস, অবৈধ বন্যপ্রাণী শিকার, দারিদ্র, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পকারখানার দূষণ-এ বাংলাদেশের পরিবেশ আজ বিপর্যস্ত।বনভূমি উজাড়ের পাশাপাশি হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণী। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।”(সংগৃহীত)অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবীর লক্ষকে আগামী দিনের সভ্যতার অগ্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও সৃষ্ট সংকটের হাত থেকে বাঁচানোর দ্বীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন জরুরী।আসল কথা হচ্ছে পৃথিবীটা আমাদের,আর বাসযোগ্য রাখতে আমাদেরকেই দায়ীত্ব নিতে হবে।জীবন বাঁচাতে এবং সুস্থ্য প্রজন্মকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করতে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে,এবং তা আমাদেরকেই করতে হবে।মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশটা হওয়া চাই সুন্দর ও অনুকল ।সকলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ দরকার সবার আগে যেখানে মানুষসহ সকল প্রাণী থাকতে পারে সহনীয় অবস্থানে।বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা চাই- জীবনের জন্য নিরাপদ পৃথীবি ও সুন্দর পরিবেশ।