পর্নোগ্রাফিকে ‘ব্লু ফিল্ম’ বলা হয় কেন?

পর্নোগ্রাফিকে ‘ব্লু ফিল্ম’ বলা হয় এটা আমরা হয়ত সকলেই জানি। কিন্তু পর্নোগ্রাফিকে ‘ব্লু ফিল্ম’ বলা হয় কেন জানেন? এর পেছনে রয়েছে একাধিক প্রচলিত মত।
সব থেকে বেশি সমর্থিত মত হল, এই নীল বা ‘ব্লু’ নাম এসেছে মূলত নীল আইন বা ব্লু লজ (Blue Laws) থেকে।
অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে আমেরিকায় এই আইন প্রণয়ন করেছিলেন রেভারেন্ড স্যামুয়েল পিটার্স। এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল, রোববার কিছু বিষয়কে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য কিছু কাজকর্মকে ‘নিষিদ্ধ’ করা। যার মধ্যে অন্যতম হল মদ কেনা ও খাওয়া, আমোদ-প্রমোদের জন্য শুড়িখানা যাওয়া।
এমনকি পতিতালয়ে যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বলে শোনা যায়। আসলে রেভারেন্ড চেয়েছিলেন, রোববার যাতে সবাই ‘শুদ্ধ চিত্তে’ গির্জায় গিয়ে প্রার্থনায় মনোনিবেশ করেন।
শোনা যায়, তিনি আইনটি লিখেছিলেন নীল কাগজ বা নীল মলাটে মোড়া একটি খাতায়। তাই তার তৈরি আইনের নাম হয়ে যায় নীল আইন বা ‘ব্লু ল’।
আজ থেকে প্রায় ৫০-৬০ বছর আগেও এই আইন প্রচলিত ছিল বেশ কয়েকটি মার্কিন স্টেটে। অনেকেই মনে করেন, ‘ব্লু ল’ এর ‘নিষিদ্ধ’ আমোদ-প্রমোদের ব্যপারটা মাথায় রেখেই পর্নোগ্রাফির প্রচলিত নাম হয়ে যায় ‘ব্লু ফিল্ম’ বা নীল ছবি।
সূত্র: আনন্দবাজার।