জাতীয়

অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল হলি আর্টিজান

ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ বেকারিটি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল। রোববার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আবাসিক এলাকায় অনুমোদনহীন স্থাপনা উচ্ছেদ-সংক্রান্ত একটি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় আরো জানানো হয়, এ প্লটে নার্সিং হোম করার জন্য ১৯৭৯ সালে মালিককে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে নার্সিং হোমের নির্মাণকাজ শুরু করে। কিন্তু রেস্টুরেন্ট বা বেকারি করার জন্য কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। নার্সিং হোমের নামে বরাদ্দ করা প্লটের একটি অংশে হলি আর্টিজান বেকারি গড়ে তোলা হয়েছে।

সভায় বলা হয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার ৬২৫টি অবৈধ স্থাপনার একটি আনুষ্ঠানিক তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। এর মধ্যে উত্তরায় ২১৫টি, মিরপুরে ৫৮০টি, গুলশান-বারিধারায় ৫৫২টি, ধানমন্ডি-লালবাগ এলাকায় ১৭৩টি এবং মতিঝিল-খিলগাঁও এলাকায় ১০৫টি স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনার মালিক রাজউকের লিজ শর্ত ভঙ্গ করে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশান, বনানী ও বারিধারায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে গুলশানের এক রেস্তোরাঁয় নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার পর অভিজাত এসব আবাসিক এলাকার নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২০০৮ সালের একটি জরিপ বলছে, গুলশানে ৯০৪টি আবাসিক প্লটে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। আর বনানীতে রয়েছে এ ধরনের ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠান। গত আট বছরে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button