অভ্যুত্থানকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ইঙ্গিত এরদোয়ানের

ভালুকা নিউজ ডট কম; আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার দায়ে ব্যাপক দমনাভিযান শুরু করেছে এরদোয়ান সরকার। এ পযর্ন্ত ৬ হাজারের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের আইনমন্ত্রী বাকির বোজদাগ। রয়টার্সকে মন্ত্রী জানান, এই অভিযান আরও বেশ কিছুদিন চলবে।
আটকদের মধ্যে ২ হাজার ৭৪৫ জন বিচারক রয়েছেন। গত রোববার আরও ৫০ জনের বেশি সেনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভ্যূত্থানের পর পরই সেনাপ্রধানকে বদলে নতুন ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান নিযুক্ত করা হয়। এছাড়া ৫ জন জেনারেল এবং ২৯ জন কর্নেলকে বরখাস্ত করা হয়।
অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের কড়া মূল্য দিতে হবে— এর আগে এক বক্তব্যে জানান এরদোয়ান। একইসাথে বলেন, নতুন করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চালুর প্রস্তাব করা হবে পার্লামেন্টে। সমাবেশ চলাকালে তার কিছু সমর্থক অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলেন। তার জবাবে এরদোয়ান বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের অনুরোধ রাখতে আমরা বাধ্য।
সরকারের সব বিভাগ থেকে ‘ভাইরাস’ দূর করতে হবে, বলেন তিনি।
তুরস্ক ২০০৪ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে মিলে দেশটিতে আইন করে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৮৪ সালের পর দেশটিতে আর কোনো মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়নি।
তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়িলদিরিম বলেন, আমরা আপনাদের(জনগণ) কথা শুনেছি। এখন যা প্রয়োজন করা হবে।
গত শুক্রবার দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করে। পরে এরদোয়ানের সমর্থক এবং জনগণ তুরস্কের রাস্তায় নেমে আসে এবং সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
এ অভ্যুত্থান চেষ্টার মদদদাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ধর্মীয় নেতা ফাতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করেছেন এরদোয়ান। পরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুলেনকে তুরস্কে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানান। এ ঘটনায় তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে অস্থিরতা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন। তিনি একে ‘মিথ্যা এবং ক্ষতিকর’ বলে উল্লেখ করেন। এক খবরে জানিয়েছে ইন্ডিপেন্টেন্ড। এঘটনাকে কেন্দ্র করে সামনে দুদেশের সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে পত্রিকাটি।