অর্থনীতি

জ্বালানি তেলের দাম আরও কমানোর ইঙ্গিত

ভালুকা নিউজ ডট কম; ঢাকা: সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমালেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি মন্তব্য করে তেলের দাম ফের কমানোর বিষয়টি সরকারের ভাবনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার ‘পেট্রোলিয়াম বিল-২০১৬’ পাসের আগে সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি বলেন, “এক দফা (তেলের) দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখিনি। কোনো যানবাহনে ভাড়া কমানো হয়নি। তেল পরিবহনের কার্গো ভাড়াও কমেনি।

“আবারও দাম কমানোর বিষয়টি থেকে সরে আসিনি। কমানোর বিষয়টি চিন্তার মধ্যে রয়েছে। দাম কমালে বাজারে কী ধরনের প্রভাব পড়ে, সেটা বোঝার চেষ্টা করছি।”

বিলটি পাসের আগে সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানান।

গত ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশের মতো কমায় সরকার। তার আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

সামরিক আমলে জারি করা অধ্যাদেশ সংশোধন করে নতুন পেট্রোলিয়াম আইন করার প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে তোলেন প্রতিমন্ত্রী। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

গত বছরের জুলাই মাসে বিলটি মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।

১৯৩৪ সালের পেট্রোলিয়াম আইনটি সামরিক শাসনামলে ১৯৮৬ সালে সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সেই অধ্যাদেশটি আইনে বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি পাস হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ ও পরিবহনে কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার সংবাদ না দিলে তিন মাস পর্যন্ত জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

বিলে ছয় মাস পর্যন্ত জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।

পেট্রোলিয়াম উৎপাদন, শোধন, মিশ্রণ, রিসাইক্লিনের মাধ্যমে পুনঃব্যবহার ইত্যাদি বিধিমালা অনুসরণ করতে হবে। পেট্রোলিয়াম কন্টেইনারে সতর্কবাণী দিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button