খেলাধূলা

৪,৫০,০০০ কনডমেও টান পড়বে রিও অলিম্পিকে!

স্পোর্টস ডেস্ক: অলিম্পিক মানেই অসংখ্য রেকর্ডের ছড়াছড়ি। অলিম্পিক মানেই প্রচণ্ড অ্যাকশন। অ্যাকশন ও রেকর্ডের রিও অলিম্পিকে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে কনডমও। শুক্রবার শুরু ১৭ দিনের এই বিশ্ব আসরে ক্রীড়াবিদ থাকছেন ১০,৫০০। তাদের জন্য বরাদ্দ ৪৫০,০০০ কন্ডম। নতুন অলিম্পিক রেকর্ড! থাকছে ১০০০০০ নারী কনডমও। কিন্তু তাতে কি হবে শেষ পর্যন্ত? টান পড়বে না তো? এই ভাবনাও আছে ব্রাজিলের আয়োজকদের।

প্রত্যেক ক্রীড়াবিদের জন্য বরাদ্দ ৪২টি কনডম। বা দিনে দুটি। এর মধ্যে বেশিরভাগ অলিম্পিয়ান পৌঁছে গেছেন ব্রাজিলের অলিম্পিক নগরী রিওতে। সুইজারল্যান্ডের সাঁতারু আলেক্সান্দ্রে হেল্ডারমান তাদের একজন। কনডম দরকার তার। কিন্তু অলিম্পিক ভিলেজে কেউ তো দিয়ে যাচ্ছে না!

বাকিটা শুনুন তার কণ্ঠে, “সবাই বলছে, অনেক কনডম প্রত্যেক অ্যাথলেটের জন্য। ওরা তো তা পৌঁছে দিল না। নিজে গিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে। যতো খুশি নিতে পারেন আপনি।”

তার মানে বরাদ্দের বেশি নিতে পারবেন যে কোনো অ্যাথলেট। বিশাল ভিলেজের ডাইনিং হল, বড় বড় লাউঞ্জে রাখা আছে কনডম। সেখান থেকেই সংগ্রহ করতে হচ্ছে সবাইকে। রিওর করডম কাহিনী ভেঙেছে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের রেকর্ড। সেবার অ্যাথলেটদের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫০,০০০ কনডম।

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক অলিম্পিকগুলোতে বারবার রেকর্ড গড়ছে কনডম। ১৯৮৮ সালে সিওল অলিম্পিকে খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়েছিল ৮,৫০০ কনডম। আউটডোর সেক্স নিষিদ্ধ ছিল। অলিম্পিক ভিলেজের ছাদে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে অনেককে। প্রতি গেমসের পর অ্যাথলিটদের নানা যৌনতার গল্প আসে বাজারে। একবার একজন অ্যাথলেট বলেছিলেন, প্রতিদিন ভিলেজে তিনজন নারীর সঙ্গে সময় কাটাতেন।

১৯৯২ অলিম্পিকে আগের আসরের ১০ গুন বেশি কনডমের ব্যবস্থা হলো। ৯০,০০০। যদিও পরেরবার যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় সংখ্যাটা কমে ১৫,০০০ এ নেমেছিল। কিন্তু তার পর থেকে হু হু করে প্রতি আসরে উপরের দিকেই ছুটছে কনডম কাহিনী। ২০০০ সিডনি অলিম্পিকে ব্যবস্থা ছিল ৭০,০০০ কনডমের। কিন্তু পরে আয়োজকদের মাথায় হাত। ইসর চলাকালেই নতুন করে কিনতে হয়েছিল আরো। ২০০৪ এথেন্সে আয়োজকরা ঝুঁকি নেননি। ১৩০,০০০ কনডম রেখেছিল। চার বছর আগে সংখ্যাটা ২০ হাজার বেড়েছিল। আর এবার এক লাফে তা তিন লাখ বেড়ে গেছে!

“হুমম, ৪৫০,০০০?” কিন্তু তাতেও হবে তো? মার্কিন জিমন্যাস্ট ড্যানেল লিভা বললেন, “আশা করি যথেষ্ট হবে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button