জাতীয়

কি কারণে পুলিশ সদর দফতরে এসপি বাবুল

ঢাকা: ৩৮ দিন পর সদর দফতরে গেলেন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। আজ বুধবার সকালের দিকে পুলিশ সদর দপ্তরে যান এবং দুপুর ২টা ১০ মিনিটের সময় বেরিয়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শী এক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া) একেএম শহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এসপি বাবুল আক্তার কাজে যোগদান করেছেন এটাও বলা যাবে না, আবার যোগদান করেন নাই এ মুহূর্তে তাও বলা যাবে না।’

সূত্র জানায়, গত ৫ জুন তার স্ত্রী খুনের পর ঘটনার পেছনে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়। এরপর গত ২৪ জুন গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুল আক্তারকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখায় বাবুল আক্তারকে আটক করা হয়েছে বলেও তখন গুঞ্জন ছড়ানো হয়।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এসপি বাবুল আক্তার যে আজ পুলিশ সদর দফতরে গিয়েছিলেন এটা আমার নলেজে আছে। তিনি যোগদান করেছেন কিনা জানি না, তবে তার যোগদানে তো কোনও সমস্যা দেখছি না।’

জানা যায়, বাবুল আক্তার দীর্ঘ ৩৮ দিন পর এই প্রথম পুলিশ সদর দফতরে গেলেন। মিতু হত্যার আগেই চট্টগ্রামে থেকে তাকে বদলি করে পুলিশ সদর দফতরে ন্যস্ত করা হয়েছিল।

গত ৫ জুন রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে বাবুল আক্তার ও তার দুই সন্তান ঢাকায় নিহত মিতুর বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে কয়েকদিন পর ২৪ জুন মধ্যরাতে হঠাৎ করে পুলিশ সদর দফতরে তাকে ডেকে নেওয়া হলে এ মামলার গতি-প্রকৃতি পরিবর্তিত হতে শুরু করে। এমনকি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এসপি বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যায় জড়িত থাকায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে আইজিপি মো. শহীদুল হক গত ২১ জুলাই জানান, ‘তিনি এখনও চাকরিতে বহাল আছেন।’

বিষয়টি নিয়ে বাবুল আক্তারের শ্যালিকা শায়লা মোশাররফও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আজ একজন রিকশাওয়ালাও মনে করেন এসপি বাবুল আক্তার খুনি। কিন্তু এর অন্তরালে কি ঘটে যাচ্ছে তা কেউ জানতে পারছে না। মামলার তদন্তকালেই তাকে খুনি বানানো হচ্ছে। অথচ তিনি খুনি কি না তা এখনো প্রমাণ হয়নি। যদিও তা এখন অনেকের কাছে আর বড় বিষয় নয়, বড় বিষয় হচ্ছে বাবুল আক্তারকে চাকরিচ্যুত করা খুব জরুরি। যারা বাবুল আক্তারকে চান না, ভিন্ন স্বার্থ চরিতার্থ করতে চান, তারা সবাই উঠে পড়ে লেগেছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button