আন্তর্জাতিক

কোরআনে নেই, তাই বোরকা পুড়িয়ে ফেললেন নারী!

ইসলামিক বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ইসলামের সাথে বোরকার কোন সম্পর্ক নেই। কোরআনে বোরকা শব্দটি কোথাও ব্যবহার করা হয়নি।

সমকালীন ইসলামী নারীদের রক্ষার জন্য একজন নারী বোরকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সিরিয়ার একটি মধ্যপন্থী সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিকে জোর করে বোরকা পরানো হচ্ছিল। কিন্তু এবার তারা পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যা সামনে নিয়ে এসে নিজেদের বোরকা পুড়িয়ে ফেলেছেন।

এই বছরের জুন মাসে ১৯ বছর বয়সী সৈয়দ হামিদি নিজের নেকাব ছিঁড়ে ফেলে। এরপর থেকে এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তিনি কালো বোরকা বাদ দিয়ে একটি রঙিন প্যাটার্ন পোষাক এবং রক্তবর্ণ স্কার্ফ পরিধান করেন। যখন তাদের গ্রাম আইএসআইএস এর অধীনে ছিল তখন তিনি এভাবে চলতেন।

খাদিজা আব্দুল নামের একজন নারী জানায়, ‘তারা আমাদের ইসলামী ওড়না দিয়ে মুখমন্ডল আবৃত করার জন্য বাধ্য করতেন এবং তা না করলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিতেন।’

আইএস এর নতুন নতুন সব আইনে তারা বিধ্বস্ত। তারা মহিলাদের উপর যৌন সহিংসতা ও নিপীড়ন চালায়। তারা নিজেরা আইন তৈরি করে। সম্পূর্ণ এলাকা থেকে টিভি, টেলিফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদেরকে সঠিকভাবে খাবার দেয়া হয় না। ক্ষুধার জ্বালায় হন্ন হয়ে ঘুরে ফিরে তারা। এলাকার পুরুষদের হত্যা করে ফেলেছেন তারা। আবার অনেকে তাদের নিকট জিম্মি অবস্থায় আছে। বোরকার বিষয়ে তারা জয়লাভ করেছেন।

তাই সকলের সামনে বোরকা পুড়িয়ে সেই জয় দেখাচ্ছেন তারা। এবার তারা আইএসের নিকট থেকে জিম্মি মানুষদের ফিরিয়ে আনতে চায়। এক্ষেত্রে তারা সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন।–সুত্র: ইন্ডিয়া টাইম্‌স।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button