জাতীয়

আমি জাতির পিতার কন্যা, মৃত্যুকে ভয় পাইনি

ঢাকা: আমি কখনো মৃত্যুকে ভয় পাইনি। কারো কাছে মাথা নত করিনি। এক আল্লাহ ছাড়া। কারণ সবসময় মনে রেখেছি আমি জাতির পিতার কন্যা। আমিই তো জানি জন্মালে মরতে হবে। তাই মরার আগে মরতে চাই না।

এ দেশের জন্য আমার বাবা-মা ভাই মারা গেছেন। আমি যতদিন পারব এ দেশের সেবা করে যাব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ২১ আগস্ট হামলায় কোনো আলামত সংগ্রহ করেনি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার। এ ঘটনায় বিশ্বের বিবেক নড়ে গেলেও বিএনপির নেত্রী একটি কথাও বলেননি।

তারা বলেছে এ ধরনের ঘটনা আমরা ঘটিয়েছি। কিন্তু আমি প্রশ্ন করি আমরা কি সুইসাইড করতে সেখানে এসেছি। ঘটনার পর গ্রামের কোথাকার এক জজ মিয়া নামে নাটক সাজানো হলো। এ নিয়ে পার্লামেন্ট কথা বলতে দেয়নি তখনকার সরকার। আনতে দেয়নি কোনো নিন্দা প্রস্তাব।

তাদের প্রতিটি বক্তব্যে আভাস ছিল তারা আমাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এ ঘটনায় আমরা ২২ জনকে হারিয়েছি। আহত হয়েছেন আমাদের ১০০০ জন।

তখনই টের পেলাম কতগুলো হাসপাতাল আছে ঢাকায়। সব হাসপাতালে আমাদের আহত নেতাকর্মী। আমি সবার খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু বিএনপির মনোভাবাপন্ন কোনো ডাক্তার সেদিন আহতদের পাশে ছিল না। আমাদের মনোভাবাপন্ন চিকিৎসকরা এগিয়ে এসেছিলেন। সেদিন তো পিজি হাসপাতালে ঢুকতে দেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না এমন ঘটনা আবারও ঘটুক। আমাদের পরিষ্কার অবস্থান হলো আমরা দেশে কোনো সন্ত্রাস চাই না।

তত্ববধায়ক সরকারের সময়ের কথা উত্থাপন করে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় যারা আগে ক্ষমতায় ছিল তাদের না ধরে আমাকে গ্রেফতার করা হলো। আমাকে খালেদার আগে গ্রেফতার করে। আমাদের নেতাকর্মীরা সোচ্চার হওয়ায় ও আন্দোলন গড়ে তোলায় আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।

তিনি বলেন, কিছু দেশবিরোধী শক্তি জঙ্গিদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে। আমরা মোকাবিলা করছি। দুনিয়ার কেউ এ সন্ত্রাসীদের আক্রমণের বাইরে নয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী এ সন্ত্রাস ঘটছে। বাংলাদেশের মানুষ এ জঙ্গিদের একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button