কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কবি শহীদ কাদরীর মরদেহ
ভালুকা নিউজ ডট কম, বিশেষ প্রতিনিধি: সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কবি শহীদ কাদরীর লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও বিশেষ সহাকারী মাহবুবুল আলম শাকিল প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কবির মরদেহ রাখা হবে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
বুধবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে কবির মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত খরচে কবি ও তার পরিবারকে দেশে আনা হয়েছে। সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা হবে। এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।
রবিবার নিউ ইয়র্ক স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিউ ইয়র্কের নর্থ শো’র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবি শহীদ কাদরী মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার প্রথম কবিতা ‘এই শীতে’ বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। শহীদ কাদরীর চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো হলো ‘উত্তরাধিকার’, ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’, ‘কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই’ ও ‘আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও’। তিনি ২০১১ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
পঞ্চাশ দশকের বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি শহীদ কাদরী। তার কবিতা প্রজন্মের মননের প্রতীক। ১৯৪৭ পরবর্তীকালের বাংলা সংস্কৃতির বিখ্যাত কবিদের একজন যিনি নাগরিক জীবন সম্পর্কিত শব্দ চয়ন করে নাগরিকতা ও আধুনিকতাবোধের সূচনা করে বাংলা কবিতায় সজীব বাতাস বইয়ে দিয়েছেন।
তিনি আধুনিক নাগরিক জীবনের প্রাত্যহিক যন্ত্রণা ও ক্লান্তির অভিজ্ঞতাকে কবিতায় রূপ দিয়েছেন। ভাষা, ভঙ্গি ও বক্তব্যের তীক্ষ শাণিত রূপ তার কবিতাকে বৈশিষ্ট্য দান করেছে। শহর এবং তার সভ্যতার বিকারকে শহীদ কাদরী ব্যবহার করেছেন তার কাব্যে। তার কবিতায় অনূভূতির গভীরতা, চিন্তার সুক্ষতা ও রূপগত পরিচর্যার পরিচয় সুস্পষ্ট।