ভালুকার পল্লীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন; পরিবারের লোকজন পলাতক
বিশেষ প্রতিনিধি, ভালুকা নিউজ ডট কম: ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে আকলিমা (২৫) নামে এক গৃহবধুকে স্বামীর কর্তৃক হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামে। ঘটনার পর থেকে স্বামী শরীফুলসহ পরিবারের সকলেই পলাতক রয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঐ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
সরজমিনে জানাযায়, ওই গ্রামের মৃত ছন্নত আলীর ছেলে শরীফুল মঙ্গলবার রাতে তার স্ত্রীকে মারধর করে ঘরের জিনিষপত্র ভাংচুর করে। বুধবার ভোরে শরীফুলকে খালি গায়ে বাড়ী থেকে দৌড়ে পালাতে দেখে পাশের বাড়ীর এক মহিলা তাদের ঘরে প্রবেশ করে দেখেন আকলিমার মৃতদেহ ঘরের বেড়ার সাথে হেলান দেয়া অবস্থায় পরে রয়েছে। পরে লোকজন ডেকে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে নীলা ফুলা অসংখ্য জখম রয়েছে। খবর পেয়ে নিহত আকলিমার বাবা মা ঘটনাস্থলে আসেন।
মেয়ের শোকে আহাজারি করতে করতে নিহত আকলিমার বাবা উপজেলার বাঁশিল গ্রামের আছমত আলী বলেন, “আমার মেয়েকে প্রায় চার বছর পূর্বে বিয়ে দেওয়ার পর ৫ লাখ টাকা খরচ করে জমি কিনে জামাতাকে বাড়ী করে দেই। চার বছরের মধ্যে আমার মেয়ের কোন সন্তান হয়নি। কিছুদিন যাবৎ আরও টাকার জন্য প্রায়ই আমার মেয়েকে এরা মারধোর করতো। বুধবার সকালে মাষ্টারবাড়ী এলাকা থেকে মোবাইল ফোনে আমার মেয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনতে পাই। এরা সবাই মিলে আমার মেয়েকে খুন করেছে আমি এদের বিচার চাই”।
নিহতের মামা রফিকুল ইসলাম জানায়, “ঘটনার দিন রাতে আকলিমাকে শরীফুল সহ আরও কয়েকেজন মিলে বেধম মারধর করে, একপর্যায়ে আকলিমা পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে আবার ঘরে এনে আটকিয়ে রেখে পর্যায়ক্রমে তার উপর নির্যাতন করা হয়”।
এ ব্যাপারে লাশ উদ্ধারকারী এস আই মাহফুজ জানান, নিহত আকলিমার গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তার লাশ বসা অবস্থায় পাওয়া যায়। তারপরও ময়না তদন্তের রির্পোট না আসা পর্যন্ত বলা যাবে না এটা হত্যা না আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ জানান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।