ধর্ম

সর্বোত্তম ইবাদত হজ্জ

মুসলমানদের সর্বোত্তম ইবাদাত হজ্জ।আর যাঁরা হজ্জ করেন তাঁরা হাজি,আল্লাহর মেহমান।হজ্জ ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ।হজ্জ ইসলাম ধর্মাবলম্বী তথা বিশ্ব মুসলিমের জন্য জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত যা শর্তাধীন ফরজ।শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য হজ্জ সম্পাদন করা ফরজ সমগ্র জীবনে একবারই ।কোরআন মজিদে আল্লাহপাক-সূরা আল ইমরানের ৯৬নং আয়াতে বলেছেন-‘নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের ইবাদতের জন্য নির্ধারিত হয়েছে সেটা হচ্ছে এ ঘর (কাবা ঘর)যা বাক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়’।হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-‘হজ্জ ও উমরা পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান।তারা দোয়া করলে তা কবুল হয়ে যায় এবং গোনাহ মাফ চাইলে তা মাফ করে দেয়’(ইবনেমাজাহ:২৮৯২)।মানসিক,আর্থিক এবং শারীরিকভাবে সক্ষম ও উপযুক্ত ব্যাক্তিরাই কেবল পবিত্র হজ্জ পালন করতে পারবেন।প্রতি বছর যিলহজ্জ মাসে পবিত্র হজ্জ পালনের জন্য সারা পৃথিবী থেকে লাখো মুসলমান ইবরাহীম (আঃ)এর স্মৃতি বিজড়িত মক্কা-মদীনায় উপস্থিহ হয়ে হ্জ্জ পালন করেন,কোরবানী করেন,হযরত ইব্রাহীম (আ:)এর আদর্শকে ধারন করে নিজেকে পরিতৃপ্ত করেন একমাত্র আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্যেশ্যে।যুগ যুগ ধরে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য,সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে বিশ্বের দরবারে পৌছে দিতেই হজ্জ,ইবাদত হিসেবে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে।আমাদের উচিত লোক দেখানো ইবাদত থেকে মুক্ত হয়ে কেবল আল্লাহর জন্যেই কোরবানী করা।হজ্জ যেনো গুরুত্বপুর্ণ ইবাদত পালনকারীদের মনোবাসনা পুর্ণ করতে পারে সেদিকে লক্ষ রেখে সকল নিয়ম মান্য করা জরুরী।কোরবানীর ঈদ বা ঈদ-উল আযহা কেবল আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়,এটি আত্মত্যাগ,আত্মোৎসর্গ,আত্মসমর্পণের দিন।ঈদ-উল আযহা দিবসের এই কোরবানী পার্থিব লোভ-লালসা,স্বার্থপরতা থেকে মুক্ত ও পবিত্র হয়ে মহান স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের শিক্ষা দেয়।সত্যের পক্ষে,মানবতার কল্যানে,দেশ-জাতীর স্বাথে আত্মোৎসর্গ করার শিক্ষা দেয়।পবিত্র হজ্জের অবশ্য পালনীয় বিষয় সমুহের প্রতি হাজীদের গুরুত্ব দিতে হবে যাতে মহান রাব্বুল আলামীদের নৈকট্য লাভের মহা সুযোগ হাত ছাড়া না হয়ে যায়।এবং গুরুত্বপুর্ণ ইবাদত হজ্জ পালন যেনো লোক দেখানো ইবাদতের সামিল না হয়।হজ্জ পালন হোক ইহ-পরকালীন শান্তির জন্য।হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত।রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-‘তোমরা হজ ও উমরা পালন কর।কেননা হজ ও উমরা উভয়টি দারিদ্র্যতা ও পাপরাশিকে দূরীভূত করে যেমনিভাবে রেত স্বর্ণ, রৌপ্য ও লোহার মরিচা দূর করে দেয়।আর মাবরূর হজের বদলা হলো জান্নাত’(তিরমিজি; ৮১০)।পবিত্র হজ্জ হাজীদের জীবন পাপ মুক্ত করে, ইহ-পরকালীন মুক্তি দিয়ে মুসলমানদের সর্বোত্তম ইবাদত হিসেবে পরিগনিত হোক আল্লাহ আমাদের হাজীদের সেই তৌফিক দান করুন। আমাদের সকলকে হজ্জ করার তৌফিক দান করুন আমীন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button