লাইফ স্টাইল

১০ হাজার কনস্টেবল নেবে পুলিশ

ঢাকা: দেশের সব জেলায় মোট ১০ হাজার নারী ও পুরুষ কনস্টেবল পদে নিয়োগ হবে। এর মধ্যে পুরুষ কনস্টেবল আট হাজার ৫০০ এবং নারী কনস্টেবল দেড় হাজার। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর হতে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে।

নিয়োগে আগ্রহী প্রার্থীদের সকাল ৯টায় নিজ নিজ জেলায় শারীরিক মাপ ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শেষে বিকাল ৩টায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। একই দিন বিকাল ৫টায় পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রার্থীর যোগ্যতা:
বয়স: সাধারণ/অন্যান্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩১/০৮/২০১৬ তারিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর (০১/০৯/১৯৯৮ হতে ০১/০৯/১৯৯৬ এর মধ্যে জন্ম)। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩১/০৮/২০১৬ তারিখে ৩২ বছর হতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:
এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫, বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে ও অবিবাহিত হতে হবে।

শারীরিক মাপ: সাধারণ ও অন্যান্য কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, উপ-জাতীয় কোটা পুরুষের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। নারী প্রার্থীদের সব কোটা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।

শারীরিক মাপ ও পরীক্ষার সময় সঙ্গে যা আনতে হবে-
১। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূল কপি।
২। ইউনিয়ন পরিষদের পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটিকর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূল কপি।
৩। প্রার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি (যদি না থাকে মাতা/পিতার পরিচয় পত্রের মূল  কপি)।
৪। সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গীন ছবি।
৫। পরীক্ষার ফি ১০০/-(একশত) টাকা। ১-২২১১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমাপূর্বক চালানের কপি আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
৬। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতা/পিতামহ/ মাতামহের নামে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের মূল কপি যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাননীয় মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও প্রতি স্বাক্ষরিত হতে হবে।
৭। পুলিশ পোষ্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পিতা/মাতার নাম, পদবী, বিপি নম্বরসহ কর্মরত ইউনিটের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রের মূল কপি।
৮। আনসার ও ভিডিপি কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪২ দিন মেয়াদী প্রশিক্ষণের মূল সনদপত্র আনতে হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি :
নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে দৌড়, রোপিং ও জাম্পিং ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ০১.৩০ মিনিটের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে(নূন্যতম ৪৫% মার্ক প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হবে)। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

নির্বাচন পদ্ধতি:
লিখিত মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিবেচিত হলে প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হবে।]

প্রশিক্ষণকালীন সুবিধা
প্রশিক্ষণকালীন বিনামূল্যে পোষাক সামগ্রীসহ থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সুবিধা দেয়া হবে এবং ৫০০/-টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়া হবে।

নিয়োগ ও চাকরীর সুবিধাদি
১। প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৭তম গ্রেড (৯০০০-২১৮০০/-) টাকা ও অন্যান্য বেতন-ভাতাদিসহ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টবল পদে নিয়োগ করা হবে।
২। বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রী ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা ভাতা সহ রেশন সামগ্রী স্বল্প মূল্যে প্রাপ্য হবে।

যারা পুলিশ  কনস্টেবল পদে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তারা এখন থেকেই মানসিক ও শারীরিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার  জন্য প্রস্তুতি নিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button