ঢাকাবিভাগীয় খবর

টাম্পাকোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও চার জনের মরদেহ উদ্ধার, নিহতের সংখ‌্যা বেড়ে ২৯

অনলাইন ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গীর প্যাকেজিং কারখানা ‘ট‌াম্পাকো ফয়েলসের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে কারখানাটিতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ‌্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম জানিয়েছেন, কারখানার মূল ভবনের পূর্ব পাশে ধসে পড়া ছাদের অংশ সরানোর পর চারটি মরদেহ পাওয়া যায়।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, এ ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া ভবনটির ছাদ ধসে আঘাতের কারণেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার ভোরে বয়লার বিস্ফোরণের পর টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীর পাঁচ তলা ওই কারখানা ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় শনিবার উদ্ধার হয় ২৪ জনের মরদেহ। ওই দুর্ঘটনায় দগ্ধ রিপন দাস (৩৫) নামের এক ব্যক্তি রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নয় নিখোঁজ শ্রমিক-কর্মচারীর একটি তালিকা করেছে জেলা প্রশাসন। টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতুর পাশে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসেম দায়িত্ব পালন করছেন।

নিখোঁজ শ্রমিকের তালিকায় রয়েছেন-মাগুরা সদরের চনপুর ইডারন গ্রামের আ. মালেক মোল্লার ছেলে আজিম উদ্দিন (৩৬), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উকুলকি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৭), গাজীপুর নগরের হিমারদিঘী আমতলী বস্তি হরিজন কলোনির দিলীপ ডোমের ছেলে শ্রী রাজেশ বাবু (২২), লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের শিবপুর গ্রামের মো. আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন মুরাদ (৩২), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ঝিগারবাড়িয়া গ্রামের মমতাজ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (৪৫), একই এলাকার সুলতান গাজীর ছেলে মো. আনিছুর রহমান (৩০), কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের মেছেরা গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪০), চাঁদপুরের কচুয়ার তেগরিয়া গ্রামের ইউনুস পাটোয়ারীর ছেলে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (৪৫) ও কুমিল্লার মুরাদনগরের টনকী গ্রামের মো. তোফায়েল হোসেনের ছেলে মাসুম আহমেদ (৩০)।

এদিকে, দীর্ঘ চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট শনিবার গভীর রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু রোববার সন্ধ‌্যার দিকেও ধোঁয়ার কারণে কারখানার ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না দমকলকর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মী ও পুলিশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button