সাকার স্ত্রী-ছেলে খালাস, ৫ জনের সাজা
ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় আইনজীবী ফখরুলসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে খালাস দেওয়া হয়েছে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শামসুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এতে ব্যারিষ্টার ফখরুলের ১০ বছরের সাজা ও একইসঙ্গে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। আর বাকি চার জনকে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। গত ৪ আগস্ট মামলার যুক্তি উপস্থাপন হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি গণমাধ্যমকর্মীদের দেখান। রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক শাহজাহান সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রের অপর আসামিরা হলেন- সাকার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক হোসেন, পরিচ্ছন্নকর্মী নয়ন আলী ও ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান।