গাজীপুরে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দুই নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলাইমান মিয়ার বিরুদ্ধে তার স্ত্রী নুশরাত জাহান টুম্পাকে (২৮) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতে টুম্পার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর সুলাইমান পলাতক। স্বজনের অভিযোগ, টুম্পাকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যার পর তার স্বামী পালিয়েছে। পুলিশ বলছে, টুম্পার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায়, কানে, থুঁতনি ও হাতের দুই কনুইয়ে জমাটবাঁধা রক্তের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক আলামতে এটি হত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়ির দোতলার একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকেন সুলাইমান। গতকাল দুপুরে স্বজনরা টুম্পার মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি তা ধরেননি। পরে তার মা সেলিনা বেগম বাসায় গিয়ে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তবে ওই সময় স্বামী-সন্তান কেউ বাসায় ছিল না। তাকে উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন জানিয়েছেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে টুম্পা নামের নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। টুম্পার বাবা নজরুল ইসলামের অভিযোগ, গত রোববার বিকেলে তার মেয়ে সুলাইমানের মোবাইল ফোনে এক নারীর ছবি দেখতে পায়। এর প্রতিবাদ করায় টুম্পাকে মারধর করা হয়। পরে রাতের যে কোনো সময় তার মেয়েকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেন টুম্পার বাবা নজরুল ইসলাম।