ভালুকায় ভারী বর্ষণে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত: বসত ঘরে হাটু পানি
মাহমুদুল হাসান ফোরাত, বিশেষ প্রতিনিধি: ভালুকায় সোমবার দুপুরে হঠাৎ ভারি বর্ষণে পৌরসদর সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক মাছের খামারের বাঁধ ভেঙ্গে মাছ ভেসে গেছে। পৌরসভার রাস্তার মাঝে জালি দিয়ে মাছ ধরতেও দেখা গেছে। ড্রেনের মুখ বন্ধ রাখায় এক মাদরাসার সুপারের বাসায় হাটু পানি জমেছে। আজো দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। জানাযায়,সকাল ১১টার সময় উত্তর আকাশ কালো মেঘে ঢেকে এসে টানা ২ঘন্টা প্রবল বর্ষণে উপজেলার নিম্মাঞ্চল সহ পৌর সদরের সব ক’টি ওয়ার্ডেই রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এসময় পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রাসেল মিল থেকে কানা মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ১কিঃমিঃ রাস্তার মাঝে হাটু পানি হয়ে যায়। বৃষ্টি পানিতে জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে। এ রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ বিভিন্ন মিলের হাজার হাজার শ্রমিক যাতায়ত করে থাকেন। রাস্তাটি এক বছর পূর্বে দরপত্র হলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত ঠিকাদার কাজ করেননি। ফলে বৃষ্টি হলেই এ এলাকার জনসাধারণের যাতায়ত করতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।খারুয়ালী বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও পৌরসভার ৪,৫,৬ নংওয়ার্ডের কাজী ও ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাওলানা মোহাম্মদ আলী শেখ এর বাসা পূর্ব পাশ দিয়ে সাবেক বিডিআর সদস্য জসীম উদ্দিন কর্তৃক সরকারী পৌরসভার নির্মানাধীন ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দেয়ায় উজানের বিভিন্ন বাসা বাড়ির বৃষ্টির পানির ঢলে বাসা ভিতরে ঢুকে কাজী অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ঘরের আসবাবপত্র পানিতে ঢুবে নষ্ট হয়ে যায় মাওলানা মোহাম্মদ আলী শেখ বলেন,আমি অনেকবার জসিম উদ্দিনকে ড্রেনের মুখ খুলে দেয়ার কথা বললেও জসীমের স্ত্রী বিউটি আক্তার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমি পৌর মেয়রের মাধ্যেমে বিষয়টি নিরসনের জন্য দাবী জানাই।জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া ২নং ওয়ার্ড এলাকায় উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভালুকা উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারন স¤পাদকের পরিবারসহ অন্তত ২৫/৩০ টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছেন। এখানকার বাসিন্দারা জানান,একটু বৃষ্টি হলেই তাদের থাকার ঘরে পানি ঢুকে পরে। আর পানি যেতে সময় লাগে ৮-১০ঘন্টা। এ ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর মুকুল মাস্টার বার বার আশ্বাস দিয়েও কোন পদক্ষেপ নেয়নি