বিভাগীয় খবরময়মনসিংহ

এমপি হান্নানসহ ৮ জনের অভিযোগ দাখিল পেছাল

ভালুকা নিউজ ডট কম; বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের সময় পিছিয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) অভিযোগ দাখিলের কথা থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।


মঙ্গলবারের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহিদ ইমাম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ না হওয়ায় আরও সময় প্রয়োজন। পরে আদালত ৩১ অক্টোবর অভিযোগ দাখিলের নতুন এই দিন ঠিক করে দেয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এ বছরের ১১ জুলাই তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম এর ৫টি অভিযোগ আনা হয়।

পরদিন এর ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য দুই মাস সময় চাইলে আদালত ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করতে নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে অভিযোগ দাখিলের নতুন এই দিন নির্ধারণ করা হয়।

এই মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য এম এ হান্নান, হান্নানের ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩), মো. হরমুজ আলী (৭৩)। এ ৫ জন গ্রেফতারের পর কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া অপর ৩ আসামি মো. ফখরুজ্জামান (৬১), মো. আব্দুস সাত্তার (৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩) পলাতক রয়েছেন।

২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ট্রইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। একইদিন গ্রেফতার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকেও।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button