প্রধানমন্ত্রীর ৭০তম জন্মদিন সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে আ. লীগ-ছাত্রলীগের কর্মসূচি বাতিল

বিশেষ প্রতিবেদক: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিনে উপলক্ষে নির্ধারিত সকল কর্মসূচি বাতিল করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে মারা যান।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল মঙ্গলবার রাতে বাসসকে জানান, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ বুধবারের সকল কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী তীরের প্রত্যন্ত পাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।
শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। অন্যদিকে এ উপলক্ষে ছাত্রলীগ আগামীকাল নগরীর প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ওয়ার্ডে মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।
শেখ হাসিনা বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর আমেরিকার দু’টি দেশ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের এই অধিবেশনে তিনি নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর অসাধারন অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘প্লানেট ৫০- ৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন হিসাবে জাতিসংঘ উইমেন স্বীকৃতি অর্জন করেন।
গত বছর জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনেও তিনি দুটি পুরস্কারে ভূষিত হন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় জাতীয় ও আর্ন্তর্জাতিক পর্যায়ে সক্রিয় ও দৃশ্যমান ভূমিকা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য ‘ আইসিটি টেকসই’ উন্নয়ন পুরষ্কার লাভ করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তিনি ‘সাউথ সাউথ’ ও ‘সেরেস’ পদকসহ অন্যান্য পুরস্কারে ভূষিত হন। বাংলাদেশে নারী ও শিশুর উন্নয়নে ভ’মিকা রাখার জন্য ইউনেস্কো থেকে ‘ শান্তির বৃক্ষ (ট্রি অব পিস) অভিধায়ও সিক্ত হন।
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার ডাক নাম হাসু। দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির কোলে-পিঠে মধুমতি নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায়। তাঁরা পাঁচ ভাই-বোন। অপর চারজন হচ্ছেন শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল।
ভাই-বোনদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের হাতে নিহত হন।