ভালুকায় ইউপি মেম্বারের মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ
ভালুকা নিউজ ডট কম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় ভালুকায় ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম (ইসমাইল মেম্বার) এর মুক্তির দাবিতে (২৮সেপ্টেম্বর) বুধবার দুপুরে উপজেলার পাড়াগাঁও গাংগাটিয়া গ্রামে এডুকো স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন এলাকার কয়েক’শ নারী-পুরুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম (ইসমাইল মেম্বার)কে গাংগাটিয়া এডুকো স্কুলের নির্মাণ কাজের ঠিকাদারের কাছে ঘুষ দাবির অভিযোগে সোমবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়। এরই প্রতিবাদে ও মেম্বারের মুক্তির দাবিতে বুধবার দুপুরে ওই স্কুলের সামনে এলাকার কয়েক’শ নারী-পুরুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্রী ফনেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ জানান, ওই স্কুলের জন্য মেম্বার রফিকুল ইসলাম (ইসমাইল মেম্বার) ও তার চাচা আব্দুস ছাত্তার প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৩৩ শতাংশ জমি বিনে পয়সায় ২৫ বছরের জন্য লিখিত ভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেন। এছাড়া মেম্বার স্কুল নির্মাণকালে ইট, বালিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরবরাহ করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আলফা কংক্রিট ইন্ডাসট্রিজ লিমিটেডের কাছে রফিকুল ইসলাম (ইসমাইল মেম্বার) প্রায় দুই লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। রফিকুল ইসলাম (ইসমাইল মেম্বার) এর স্ত্রী আছমা আক্তার জানান, ঠিকাদারের কাছ থেকে পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য তার স্বামী ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম (ইসমাইল মেম্বার) ইউএনও এর কাছে লিখিত ভাবে জানান এবং ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বরাবর পাওনা টাকা মিটিয়ে দেয়ার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করেন। এর একদিন পরই তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, আমার স্বামী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম (ইসমাইল মেম্বার)কে জেল হাজতে নেয়ার পর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার অপারেশন লাগবে এই বলে একটি নাম্বার থেকে জেলা সুপার পরিচয়ে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলা হয়। পরে বিকাশের মাধ্যমে ৫৬ হাজার টাকা পাঠানো হয়। টাকা পাঠানোর পর থেকে ওই নাম্বারগুলো বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি সুস্থ্য রয়েছেন এবং ময়মনসিংহ জেল হাজতেই আছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাদিরা আক্তার লিপি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ওই মেম্বারের পাওনা টাকার সংক্রান্ত বিষয়ে রয়েছে বলে আমি শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার জানান, টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে ওই মেম্বার লিখিতভাবে জানালে আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বরাবর পাওনা টাকা মিটিয়ে দেয়ার জন্য চিঠি প্রেরণ করি।