তথ্য-প্রযুক্তি

সত্যিই এলিয়েন আছে : নাসার নভোচারীর অভিমত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এলিয়েনের অস্তিত্ব সম্পর্কে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বরাবর অস্বীকার করে আসছে। তবে এই বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন সংস্থারই এক নভোচারী। লেরয় চিয়াও নামের সাবেক ওই মার্কিন নভোচারী জানিয়েছেন, আদতে মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান প্রাণী রয়েছে। শুধু তাই নয়, তার মতে মানব সভ্যতাও আর বেশিদিন স্থায়ী হবে না।

লেরয় চিয়াও মার্কিন নভোচারী হিসেবে ৪ দফায় মোট ২শ’ ৩০ দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। মহাকাশে পা ফেলেছেন মোট ৬ বার। এতদিন পর অভিজ্ঞ এই নভোচারী বলছেন মহাবিশ্বে আমরা নিঃসঙ্গ নই।

তবে মানব সভ্যতা ধ্বংসের পেছনে এলিয়েনদের দায়ী করছেন না লেরয়। তার মতে, মানুষের দোষেই মানব সভ্যতা হুমকিতে পড়েছে। পৃথিবী থেকে মানুষ হারিয়ে গেলে দায়ী থাকবে মানুষেরই উন্নত প্রযুক্তি আর অস্ত্র।

মহাকাশ বিষয়ক অনলাইন ‘স্পেস ডট কম’-এ লেখা এক প্রবন্ধে লেরয় দাবি করেন, “আমি বিশ্বাস করি মহাবিশ্বের সবখানেই প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। আমরা একা রয়েছি বলে যতোই গর্ব করি না কেন!”

তবে মানব সভ্যতা ধ্বংসের পেছনে মানুষ দায়ী হলেও এই প্রক্রিয়া দুই উপায়ে ঘটতে পারে বলে লেরয় মনে করেন। প্রথমত মানুষই তার উন্নত প্রযুক্তি ও অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ধ্বংস হতে পারে। অথবা আমাদের কার্যক্রমের কারণে প্রকৃতিই পৃথিবী রক্ষায় তার দায়িত্ব কাঁধে নিতে পারে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অজানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিলুপ্তি ঘটতে পারে মানুষের।

লেরয়ের মতে, “এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যা এর আগেও ঘটেছিল।” প্রবন্ধে তিনি আরো জানিয়েছেন, তার মতো অনেক নভোচারীই বিশ্বাস করেন আমাদের উন্নত প্রযুক্তি মানুষের ধ্বংস ঠেকাতে পারবে না। অবশ্য মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিবেশি গ্রহ মঙ্গলই একমাত্র ভরসা বলে মনে করেন লেরয়।

স্পষ্ট করে না বললেও নাসার এই নভোচারী জানান, “সম্ভবত গত ক’বছরে মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা সম্পর্কে তথ্য প্রমাণ আমাদের এই বিষয়ে আরো আগ্রহী করে তুলেছে।” লেরয়ের মতে, কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গল সম্পূর্ণ অন্য ধাঁচের গ্রহ ছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button