ধর্ম

কিয়ামাতের ১০ আলামত

ভালুকা নিউজ ডট কম; ডেস্ক: কিয়ামাত বা মহাপ্রলয় অবধারিত। যা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত। তবে কখন এ মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখের কোনো বর্ণনা নেই। কুরআনুল কারিমের অনেক সুরায় কিয়ামাত বা মহাপ্রলয় সম্পর্কিত অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।

কিয়ামাত বা মহাপ্রলয়ে নির্ধারিত সময় জানানো না গেলেও হাদিসে কিয়ামাত সংঘটিত হওয়ার পূর্বের কিছু বড় আলামাত বা ঘটনার কথা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করে গেছেন। যা তুলে ধরা হলো-

Kimat

হজরত হুজাইফা ইবনে আসিদ আল-গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের প্রতি দেখলেন যে, আমরা আপসে আলাপ-আলোচনা করছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা আপসে কি ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করছ? তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম) বললেন, কিয়ামাতের বিষয়ে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘কিয়ামাত ততদিন অনুষ্ঠিত হবে না; যতদিন তোমরা দশটি নিদর্শন না দেখবে। অতঃপর তিনি (কিয়ামাতের ১০ আলামত) উল্লেখ করেন-

০১. ধোঁয়া নির্গমন;
০২. দাজ্জালের আবির্ভাব;
০৩. জন্তুর আবির্ভাব;
০৪. পশ্চিম গগন থেকে সূর্যোদয়;
০৫. হজরত ঈসা ইবনে মারইয়ামের অবতরণ;
০৬. ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব;
০৭. তিনিটি ধ্বংস- প্রথমটি পূর্বে;
০৮. দ্বিতীয়টি পশ্চিমে আর
০৯. তৃতীয়টি আরব উপদ্বীপে এবং
১০. অতঃপর ইয়ামেন থেকে আগুন বের হবে এবং মানুষকে ধাওয়া করে হাশরের ময়দানের দিকে নিয়ে যাবে।’ (মুসলিম)

সুতরাং কিয়ামাত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে আল্লাহ তাআলা প্রতিটি মুসলমানকে মজবুত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক আমলি জিন্দেগি গঠন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button