নারী ও শিশু

খাদিজার অবস্থার কোনো উন্নতি নেই

ঢাকা: সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত খাদিজা বেগমের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তার শারীরিক পরিস্থিতি আগের মতোই গুরুতর। তিনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন। মাথায় কোপের কারণে তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রেজাউস সাত্তার এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার খাদিজার দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার হয় স্কয়ার হাসপাতালে। তখন চিকিৎসক রেজাউস সাত্তার বলেছিলেন, তার মাথায় ও দুই হাতে অসংখ্য কোপের ক্ষত। খুব জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছে খাদিজার। এ ধরনের রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫ শতাংশ। ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা গত সোমবার পরীক্ষা দিতে সিলেটের এমসি কলেজে গিয়েছিলেন। পরীক্ষা শেষে ফেরার সময় কলেজের পুকুরপাড়ে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন ছাত্রলীগের নেতা বদরুল আলম (২৬)। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করছিলেন।

কলেজছাত্র ও স্থানীয় জনতা রক্তাক্ত খাদিজাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে হামলার কথা স্বীকার করে বদরুল বলেন, ঘটনার দিন দুপুর থেকেই তিনি খাদিজার বাড়ি ফেরার পথে অপেক্ষা করছিলেন।

হামলার ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস গতকাল হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বদরুলের বিরুদ্ধে সিলেটের শাহপরান থানায় মামলা করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্কুলছাত্রী কণিকা ঘোষ, ঢাকার সুরাইয়া আক্তার রিসা ও মাদারীপুরের নিতু মণ্ডলের পর খাদিজার ওপর বখাটে ও উত্ত্যক্তকারীর একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটলো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button