বিশ্বের অদ্ভুত ৭ স্থাপনার পরিচয়

ভালুকা নিউজ ডট কম; ডেস্ক: বিশ্বে নানা অদ্ভুত স্থাপনা রয়েছে; যা দেখলে মানুষের মনে যেমন বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়, তেমনই মনে উদয় হয় নানা প্রশ্নের। আবার এগুলোর কিছু যেমন মানুষের তৈরি, কিছু আবার গড়ে উঠেছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে। এমনই কিছু অদ্ভুত স্থাপনা নিয়ে এবারের আয়োজন।

১. চীনের ঝাংজিয়াজি ন্যাশনাল পার্কে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম এক কাঁচের সেতু। প্রায় ৩০০ মিটার গভীর ঝাংজিয়াজি গ্রান্ড ক্যানিয়নের উপর এটি তৈরি করা হয়েছে। ৩৮০ মিটার লম্বা ও ৬ মিটার চওড়া এই অবিশ্বাস্য সেতুটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেন ইজরায়েলের স্থাপত্যবিদ হায়িম দোতান। ঝাংজিয়াজির কাঁচের সেতুটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, মেঘলা দিনে দূর থেকে যা অদৃশ্য বলে মনে হবে।
২. অসংখ্য গোল ছিদ্রের ‘কোর’ নামের এই ভবনটি যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি’তে অবস্থিত। এই গোল ছিদ্রগুলোতে মূলত বায়ুর কল (Wind machine) বসানো রয়েছে। যা থেকে ভবনটি জ্বালানি শক্তি সংগ্রহ করে থাকে।
৩. কম্বোডিয়ায় অবস্থিত আঙ্কোর ভাট মন্দিরের সিঁড়ি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে দাঁড়িয়ে ওঠা এক কথায় অসম্ভব।
৪. পর্তুগালের ‘কুইন্টা দা রেগালেইরা’ নামক স্থানে একজোড়া কুয়ো রয়েছে। যার গভীরতা অনেক। তবে নামে কুয়ো হলেও এটিকে কখনই ব্যবহার করা হত না। তবে কি কারণে এটি নির্মাণ করা হয় এই নিয়ে রহস্য এখনো রয়েই গেছে। বর্তমানে এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
৫. বিশাল জায়গা জুড়ে নির্মিত এই স্থাপনাটি পেরুতে অবস্থিত। সিঁড়ি হিসেবে পরিচিত প্রাচীন স্থাপনাটি দেখতে অনেকটা গ্রীক এম্ফিথিয়েটারের মতো।
৬. রাজস্থানের বাউড়ির এই সিঁড়ি ভারতের অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা। রাজস্থানের নিজস্ব জ্যমিতিক শিল্পের মাধ্যমে এই সিঁড়ির নকশা করা হয়।
৭. গ্রিসের জ্যাকিনথোস দ্বীপের কাছে পানির নিচে রয়েছে আশ্চর্য এক স্থাপনা। প্রথম এটি আবিষ্কারের পর মনে করা হয়েছিল কোনো এক হারানো সভ্যতার নিদর্শন। তবে গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা জানান লাখ লাখ বছর ধরে আসলে এটি প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে উঠেছে।