হাইতিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪২
নিউজ ডেস্ক: আটলান্টিকের ক্যারিবীয় উপকূলে প্রায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ম্যাথিউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হাইতিতে মৃতের সংখ্যা আটশ ছাড়িয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ সংবাদ প্রকাশ করে। দেশটির সিভিল প্রটেকশন অথরিটি শুক্রবার ঝড়ে মৃতের সংখ্যা ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৮৪২ জনের কথা নিশ্চিত করেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হাইতিতে লণ্ডভণ্ড চালিয়ে সামুদ্রিক ঝড়টি এখন ফ্লোরিডা উপকূলে অবস্থান করছে। এই ঝড়টি যেকোনো মুহূর্তে সেখানে আঘাত হানবে। এর আগে ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার ঝড়ো হাওয়া নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে এই ঘূর্ণিঝড় কিউবা ও হাইতি অতিক্রম করতে শুরু করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার সঙ্গে হাইতির জেরেমির ৮০ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়েছে। সেই সঙ্গে সুড নগরীর অন্তত ৩০ হাজার বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বার্তা সংস্থাটি আরো জানায়, ঝড়টি হাইতির দক্ষিণাঞ্চীয় উপকূল ও শহরের উপর দিয়ে তাণ্ডব চালায়। এতে গাছ উপড়ে, পানির স্রোতে ভেসে অধিকাংশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া প্রবল স্রোতে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ হয়ে যায়। এসব এলাকাগুলোতে টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। শুক্রবার কিছু এলাকা থেকে খবর আসতে শুরু করায় মৃতের সংখ্যা হঠাৎ অনেক বেড়ে যায়। পাশাপাশি আরো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে দেশটি কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও দেশটির দক্ষিণের আরো তিনটি শহরে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চাঁতাল গ্রামের মেয়র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তাদের ওখানে ৮৬ জন মারা গেছেন এবং ২০ জনের খোঁজ মিলছে না। তারা নিখোঁজদের সন্ধান করছেন।
এদিকে সিভিল প্রটেকশন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা সেন্ট-ভিক্টর হুয়েন বলেন, জেরেমি শহরের কাছে পার্বত্য এলাকায় আরো ৮২ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। কিন্তু এসব এলাকার যোগাযোগ বিছিন্ন থাকায় ক্ষতিগ্রস্তদেরকে সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের রোশ-আবাতেও শহরে অন্তত ৫০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, ফ্লোরিডা পূর্ব উপকূলের কাছে অবস্থান করা ৪ মাত্রার ম্যাথিউয়ের কারণে ফ্লোরিডা উপকূল, জর্জিয়া ও সাউথ ক্যারোলিনা অঞ্চলের প্রায় ২০ লাখ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে।