ঝিনাইগাতী সদরের কলেজ জাতীয়করণের দাবীতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ

মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতী :শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রের কলেজ জাতীয়করণের দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করার ঘটনা ঘটেছে। কলেজ জাতীয় করনের দাবীতে ১৯অক্টোবর বুধবার দুপুরে ঐতিহাসিক আমতলীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ কর্মসূচী পালন করে আলহাজ শাফি উদ্দিন আহম্মদ কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ঝিনাইগাতী বাজারের সর্বস্তরের জনসাধারণ। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বাজারের প্রধান সড়ক আমতলীতে শিক্ষার্থীরা ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ রেজাউল হাসান, প্রভাষক আসাদুজ্জামান, ফজলুল করিম, শহীদুল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাহবুব সুলাইমান, সারোয়ার হোসেন সহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ। বক্তারা বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে ২টি কলেজকে বাদ দিয়ে উপজেলা সদর থেকে ১৩কিঃমিঃ দুরের সীমান্তের অবস্থিত আদর্শ মহাবিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষনাকে তীব্র প্রতিবাদ জানান। বক্তারা বলেন, আর্দশ মহাবিদ্যালয় মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রদান করেন। কর্তৃপক্ষ প্রদানকৃত যাচাই বাছাই না করেই উক্ত কলেজটিকে জাতীয়করণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন। সঠিক তদন্ত হলেই এর রহস্য উম্মুচিত হবে। আর আলহাজ শফি উদ্দিন আহম্মদ কলেজ ১৯৮১সালে ৬একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এবং পাঠদানের জন্য উপযুক্ত তিনতলা একাডেমিক শিক্ষা ভবন সহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থাকার সত্বেও উক্ত কলেজকে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে। কাজেই প্রয়োজনীয় তদন্তপূর্বক আদর্শ মহা বিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র অবস্থিত আলহাজ শাফি উদ্দিন আহম্মদ কলেজ অথবা মহিলা আর্দশ ডিগ্রী কলেজকে জাতীয়করণের জন্য দাবী জানান। বক্তারা আরোও জানান, ঝিনাইগাতী উপজেলার উত্তরে নলকুড়া ইউনিয়ন, পশ্চিমে ধানশাই এবং উত্তর ও পশ্চিমে কাংশা ইউনিয়ন অবস্থিত। এই তিন ইউনিয়নের মধ্যে নলকুড়া ও কাংশা ইউনিয়নে আদিবাসীদের অবস্থান যেমন বেশী তেমনি শিক্ষার হারও কম। তাছাড়া ওই ২ইউনিয়নে বেশীর ভাগ লোক দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস। কাজেই এই তিন ইউনিয়ন সহ ঝিনাইগাতী ও গৌরীপুর ইউনিয়ন থেকে ১৩কিঃমিঃ দুরে গিয়ে এ ৫ইউনিয়ন থেকে হত-দরিদ্র ছেলে মেয়েদের শিক্ষা গ্রহন করা কষ্টসাধ্যের ব্যাপার। বক্তারা বলেন, আমাদের এ আন্দোলন, সরকারের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। কাজেই উপজেলাবাসীর এ ন্যায়্য দাবী না মানা হলে পরবর্তীতে আরোও কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করা হবে।